৪,০০০ বাসিন্দা নিয়ে আজও প্রাণবন্ত সোনার কেল্লা

রাজস্থান। উটের শহর, দুর্গের শহর। প্রাচীনকালের রাজা-রাজরাদের বিখ্যাত সমস্ত দুর্গ এখন পর্যটকদের টুরিস্ট ডেসটিনেশন। কিন্তু সেখানে এখনও এমন একটা দুর্গ আছে, যেখানে মানুষ বসবাস করে। জয়সলমীর ফোর্ট। হ্যাঁ, ঠিকই শুনছেন। আমাদের সেই সোনার কেল্লা। একবিংশ শতকের ভারতে এই বিখ্যাত দুর্গেই একমাত্র মানুষ বসবাস করে।

১১৫৬ সালে রাজা রাওয়াল জয়সালের আমলে এই দুর্গ তৈরি করা হয়। হলুদ বালিপাথরে তৈরি এই বিশাল কেল্লা রাজস্থানের দ্বিতীয় পুরনো দুর্গ। সেই তখন থেকেই ইতিহাসের একেকটা আঁচড় পড়েছে এখানে। কিন্তু পরিবাররা কখনও ত্যাগ করেননি একে। এখানকার এক বাসিন্দাদের মতে, এই পুরো দুর্গটাই একটা আস্ত পরিবার। সেই পুরনো কাল থেকেই। প্রত্যেকের ভাল-মন্দে প্রত্যেকে এগিয়ে আসেন। বর্তমানে সেখানে বাসিন্দার সংখ্যা প্রায় ৪০০০।

২০১৩-তে ইউনেস্কো হেরিটেজ হিসেবে ঘোষণা করে এটিকে। তার আগে থেকেই পর্যটকদের ভিড় লেগে আছে এখানে। বাঙালিদের কাছে ফেলুদার গোয়েন্দাগিরির একটা জায়গাও বটে এটা। এতকিছুর পরেও, জয়সলমীর ফোর্ট প্রতিটা মুহূর্ত মানুষের স্পর্শে বেঁচে আছে। রাজস্থানের অন্যান্য দুর্গগুলোয় যেখানে মানুষের বসবাস বন্ধ, কিংবা রাত-তাড়াতাড়ি হোটেল হয়ে যাচ্ছে, সেখানে সোনার কেল্লা এখনও দাঁড়িয়ে আছে তার নিজের লোকদের নিয়ে।