সত্যজিতের সিনেমায় সুর তুলত তাঁর বেহালা, বিস্মৃতির অতলে বেলঘরিয়ার মিহির গুপ্ত

‘গুপি গাইন বাঘা বাইন’ সিনেমার কাজ চলছে। সত্যজিৎ রায় বসেছেন তাঁর বিখ্যাত খাতাটি নিয়ে। রয়েছে গান, স্বরলিপি; সঙ্গে আবহসঙ্গীতের ভাবনা। প্রস্তুত তাঁর শিল্পীরাও। কেউ সেতার, কেউ আবার তবলা, বেহালা নিয়ে অপেক্ষা করছেন। একে একে শুরু হল সঙ্গীত আয়োজনের কাজ। আবহ থেকে ‘দেখো রে নয়ন মেলে’, ‘ভূতের রাজা দিল বর’— গানের ধারা এগিয়ে যাচ্ছে। যাঁরা বাজাচ্ছিলেন, সেই শিল্পীদের মধ্যেই ছিলেন এক যুবক - মিহির গুপ্ত। রোগাটে চেহারা, চোখে চশমা, আর হাতে রয়েছে তাঁর জাদুযন্ত্র— বেহালা…

মূল কলকাতার থেকে একটু উত্তরে গেলেই ছোট্ট শহরতলি বেলঘরিয়া। আজ অবশ্য কলকাতার বৃহত্তর অংশের মধ্যেও যুক্ত হয়ে গেছে। চারিদিকে হাইরাইসের রমরমা; তার মধ্যেও টিকে আছে ইতিহাস। ‘চালাও পানসি বেলঘরিয়া’র ভেতর এই জনপদের একটা অমোঘ ঐতিহ্য রয়ে গেছে। সেখানে কখনও হাজির হন রামকৃষ্ণ, কেশবচন্দ্র সেন, কখনও রবীন্দ্রনাথ। এর মধ্যেই তৈরি হয়েছিল সঙ্গীতের একটি আলাদা জগত। বেলঘরিয়া জন্ম দিয়েছিল এমন সব সুরসাধকদের, যারা পরবর্তীতে বাংলা সংস্কৃতির সম্পদ হয়ে থেকে গেছেন। মিহির গুপ্ত সেই জ্বলন্ত ইতিহাসেরই প্রথম সারির শরিক। তা সত্তেও বারবার অনুচ্চারিতই থেকে গেছেন সব মহলে… 

শুরুটা করা যাক ভারতের স্বাধীনতা যুদ্ধের শেষ পর্যায় থেকে। ঘটে যায় দেশভাগের মতো ঘটনা। কুমিল্লা থেকে একটি পরিবার উদ্বাস্তু হয়ে হাজির হন বেলঘরিয়ায়। গুপ্ত পরিবার। তখন এরকম অনেক পরিবারই এই জনপদটিতে এসে আশ্রয় নিত। কিন্তু এই পরিবারটি ছিল একটু অন্যরকম। বাড়িতে সঙ্গীতের নিয়মিত চর্চা হত। কর্তা জ্ঞানেন্দ্রনাথ গুপ্ত নিজে গান শিখেছিলেন; তাঁর বাবা অক্ষয়কুমার গুপ্ত ছিলেন বিখ্যাত খোল বাদক। বেলঘরিয়ায় আসার পর জ্ঞানেন্দ্রনাথের পরিচয় হয়ে যায় ‘জ্ঞানবাবু’ নামে। পাড়ায় সবার বাড়ি ঘুরে ঘুরে তিনি গানবাজনা শেখাতে লাগলেন নিজের তাগিদেই। রোজগারের মোহ নয়; কেবলমাত্র সঙ্গীত সাধনা। সবাই যে পারিশ্রমিক দিত এমন নয়; কিন্তু সঙ্গীতের নেশা যে অমোঘ নেশা! তাঁকে সহজে ছেড়ে যাবেন কী করে! 

ছোটো থেকে এমনই পরিবেশ দেখেছিলেন জ্ঞানবাবুর বড়ো ছেলে মিহির গুপ্ত। ১৯৩৬ সালে জন্ম তাঁর। সাংগীতিক পরিমণ্ডলের ভেতরেই জন্মেছিলেন তিনি। মিহিরবাবুর ভাই তিমির গুপ্তও ছিলেন প্রথিতযশা তবলাবাদক। বেলঘরিয়া তো বটেই, কলকাতা তথা বাংলার বুকেও তাঁর পরিচিতি ছিল। স্বয়ং জ্ঞানপ্রকাশ ঘোষের মন্ত্রশিষ্য ছিলেন তিমিরবাবু। মিহির গুপ্তও সেই পরম্পরা ধরেই উঠে এসেছেন। পাঁচ বছর বয়স তখন। কেষ্ট মিত্রের কাছে বেহালা শিখতে শুরু করলেন তিনি। ধীরে ধীরে এই পরিধিই আরও বাড়তে লাগল। একের পর এক উস্তাদের কাছে নাড়া বেঁধে শেখা শুরু। ব্যস, সিদ্ধিলাভের আশায় সাধক ডুব দিলেন সেখানে। সঙ্গী হল বেহালা…  

পঞ্চাশের দশক। গণনাট্য সংঘ বা আইপিটিএ-র দিকে আকৃষ্ট হচ্ছেন বহু তরুণ শিল্পী। একই ছাতার তলায় হাজির হয়েছেন কবি, পরিচালক, অভিনেতা, সুরকার, গায়ক, সঙ্গীতজ্ঞরা। সেই আবহেই এসে পড়লেন মিহির গুপ্তও। একটু একটু করে সঙ্গীতচর্চা বাড়ছে, সঙ্গে চলছে রাজনীতি নিয়ে তর্ক-আড্ডা। তবে এতসবের মধ্যেও সঙ্গীতকে ভোলেননি মিহিরবাবু। বরাবরই একটু কম কথা বলতেন। লাজুক, চশমা পরা রোগা ছেলেটির চোখে কি যেন একটা আছে। এই ছেলেটি মগ্ন হতে জানে। আইপিটিএ-র সেই পরিবেশ থেকেই আলাপ সলিল চৌধুরী, হেমন্ত মুখোপাধ্যায়ের মতো মানুষদের সঙ্গে… 

আরও পড়ুন
তর্কযুদ্ধে নেমেছিলেন খোদ টলস্টয়ের বিপক্ষে, বিস্মৃতির অতলে বিপ্লবী তারকনাথ দাস


একইসঙ্গে ১৯৫৯ সালে আরও একটি বড়ো সুযোগ এসে যায় মিহিরবাবুর। তখন রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রী ছিলেন ডাঃ বিধানচন্দ্র রায়। লোকসংস্কৃতি দফতরের তরফ থেকে একটি বিশেষ বিভাগ চালু করলেন তিনি, নাম ‘লোকরঞ্জন শাখা’। ডিরেক্টর হলেন পঙ্কজকুমার মল্লিক। সেই সময়ই এই লোকরঞ্জন শাখায় এসে যোগ দেন মিহির গুপ্ত। ধীরে ধীরে পঙ্কজ মল্লিকের সঙ্গে ঘনিষ্ঠতা বাড়ে তাঁর। কখনও ফোন করে তিনি ডেকে নিচ্ছেন মিহিরবাবুকে। সদ্য একটি সুর কম্পোজ করেছেন, সেখানে নোটেশন লিখতে হবে। আর এমন কাজ সুন্দর করে, নিষ্ঠার সঙ্গে মিহির ছাড়া আর কেই বা করতে পারে! নোটেশনের ব্যাপারে মিহিরবাবুর দক্ষতা ছিল অবিশ্বাস্য। ভারতের শাস্ত্রীয় সঙ্গীত থেকে পাশ্চাত্য— সমস্ত সঙ্গীত শুনে শুনেই স্বরলিপি তৈরি করে দিতেন। অবশ্য পাশ্চাত্য সঙ্গীতের সঙ্গে গভীরে পরিচয় তখনও হয়নি তাঁর। কিন্তু এত জনের সঙ্গে কাজ করতে করতে, গান শুনতে শুনতে মনের অন্দরেই একটা ছবি তৈরি হয়ে গিয়েছিল। সেটাই পূর্ণতা পেল ষাটের দশকের শুরুর সময়। পাশ্চাত্য ক্লাসিকাল মিউজিকের কিংবদন্তি জোসেফ নস্করের কাছে শিখতে শুরু করলেন। বাখ, বিথোফেন, মোৎসার্টের মতো ক্লাসিক শিল্পীদের সৃষ্টিতে ডুব দিলেন। সঙ্গে ভারতীয় শাস্ত্রীয় সঙ্গীত ও রবীন্দ্রনাথ তো ছিলেনই। সব মিলিয়ে সুর-তাল-লয়ের এক আশ্চর্য জগতে হাজির হলেন মিহির গুপ্ত। এই আনন্দ কি বলে বোঝানো যাবে? 

মিহিরবাবুর গুরুত্বপূর্ণ কাজগুলির মধ্যে একটি হল ‘বাঁধ ভেঙে দাও’ অ্যালবাম। রবীন্দ্রসঙ্গীতের ওপরেও যে এত অবিশ্বাস্য সিম্ফনি তৈরি করা যায়, সেটা মিহির গুপ্ত না থাকলে বোধহয় বাংলা জানতে পারত না। অন্তত মিহিরবাবুর আগে এমন কাজ আর কেউ করেননি। এই ব্যাপারে তিনি নিঃসন্দেহে পথিকৃৎ ছিলেন। গতানুগতিক সিম্ফনি নয়; রবীন্দ্রসঙ্গীতের কথা, সুর এবং আত্মাকে বজায় রেখে এমন আয়োজন করেছিলেন তিনি, যার উদাহরণ আর আছে কিনা অনেকে মনে করতে পারেন না। শুধু কি রবীন্দ্রসঙ্গীত? সুকুমার রায়ের ‘আবোল তাবোল’, ‘হাসতে মানা’র ওপরেও অর্কেস্ট্রেশন করেছিলেন।  

আরও পড়ুন
ঘুঁষি খেয়েও রাজি থাকলে তবেই শেখাতেন বক্সিং, বিস্মৃতির অতলে কিংবদন্তি পরেশলাল রায়

ষাটের দশকের শেষের দিক। বেলঘরিয়ায় মিহির গুপ্তদের প্রতিবেশী হিসেবে ছিলেন নীলাভ চট্টোপাধ্যায়। বর্তমানে নাট্যকর্মী ও অভিনেতা নীলাভ’র তখন কিশোর বয়স। হঠাৎ একদিন তাঁদের বাড়িতে ফোন এল। সেই সময় দাঁড়িয়ে এই ফোন জিনিসটাও ছিল বিত্তেরই অঙ্গ। মিহিরবাবুদের ঘরে তখনও এই জিনিস ঢোকেনি। যাই হোক, ফোনের ওপারে এক ভদ্রলোক মিহির গুপ্তের সন্ধান করছেন। গম্ভীর, ব্যারিটোন আওয়াজ। তাড়াতাড়ি মিহিরবাবুকে ডেকে নিয়ে এলেন কিশোর নীলাভ। ফোন তুলতেই মিহিরবাবুর চক্ষু চড়কগাছ! ওপারে যিনি এতক্ষণ ধরে তাঁর সন্ধান করছিলেন, তিনি আর কেউ নন, স্বয়ং সত্যজিৎ রায়! ততদিনে বাংলা সিনেমার ছবিটাও বদলে দিয়েছেন তিনি।

এখান থেকে শুরু হল অন্য একটি যাত্রা। ‘গুপি গাইন বাঘা বাইন’ থেকে ‘আগন্তুক’— সত্যজিতের সঙ্গে বরাবরের মতো জুড়ে গেলেন তিনি। একবার কোনো একটি ছবির সঙ্গীত আয়োজন চলছে। বসে আছেন সত্যজিৎ; তাঁকে ঘিরে শিল্পীরা। হঠাৎ মিহিরবাবুর কানটা খাড়া হয়ে গেল। একটু যেন নোটেশনে গণ্ডগোল! অন্য কেউ হলে সত্যজিৎ রায়ের মুখের ওপর কিছু বলতেন না। কিন্তু সঙ্গীতের ওপরে তো কিছু নেই। নিজের সাধনা, সঙ্গীতের ওপর আর কাউকে রাখেনওনি মহির গুপ্ত। সত্যজিৎ রায়কে সেই কথা বলতেই উনি আরেকবার দেখলেন খাতা। তাই তো! নোটেশন ভুল আছে এই জায়গায়। মিহির, একটু ঠিক করে দাও তাহলে… 

আরও পড়ুন
কলেজজীবন কেটেছে এ-শহরেই, থাকতেন মেসে; বঙ্গবন্ধুর বহু স্মৃতির সাক্ষী কলকাতা

কেবল সত্যজিৎই নন; সলিল চৌধুরী, পঙ্কজ মল্লিক, নচিকেতা ঘোষের মতো সুরকারদের সঙ্গেও কাজ করেছেন তিনি। ধীরে ধীরে বাংলার সঙ্গীত জগতে বেহালাবাদক হিসেবে অন্যতম প্রধান স্থানে উঠে আসেন তিনি। সেইসঙ্গে ছিল শিক্ষকতা।  নিজের বাড়িতে বৃদ্ধ বয়সেও শেখাতেন তিনি। সেইসঙ্গে শ্যামপুকুর স্ট্রিটে, 'রামকৃষ্ণ বাটি'র ঠিক উল্টোদিকেই একটি বাড়ির একতলায় বেহালা শেখাতেন তিনি। ছাত্রছাত্রীদের ভিড় লেগে থাকত সেখানে। মিহির গুপ্ত থেকে ‘মাস্টারমশাই’— এই যাত্রাও তো একটি পরম্পরার ঢেউ। সেখানে গুরুর সঙ্গে হাজির হন শিষ্যরা। তৈরি হয় সঙ্গীতসাধনার মঞ্চ। মিহির গুপ্তের ছাত্ররা আজ গোটা ভারতের সঙ্গীতজগতে ছড়িয়ে আছে। বিখ্যাত ভায়োলিন ব্রাদার্স, অর্থাৎ দেবশঙ্কর এবং জ্যোতিশঙ্কর রায় হলেন এঁরই ছাত্র। এছাড়াও অভিজিৎ মজুমদার, ললিত কিশোর ভট্টাচার্য, সনৎ অধিকারী, শুভাশিস দে, গোপীনাথ শেঠ, সন্দীপন গাঙ্গুলি, অভিজিৎ ঘোষ, রোসি, গৌরব দত্তের মতো শিল্পীরা, যাঁদের নাম এখন বাংলা থেকে শুরু করে গোটা ভারতে ছড়িয়ে গেছে, তাঁরাও সব মিহিরবাবুরই ছাত্র। এইভাবে আরও বহু নাম ছড়িয়ে আছে গোটা ভারত জুড়ে। বলা ভালো, একটা প্রজন্মের বেহালাবাদক এবং মিউজিশিয়ানদের জন্ম হয়েছিল শুধু এই একটি মানুষের হাত ধরে। 


সেইসঙ্গে ক্যালকাটা স্কুল অফ মিউজিকের মতো স্বনামধন্য প্রতিষ্ঠানেও পাশ্চাত্য ক্লাসিকাল মিউজিক শেখাতেন তিনি। লন্ডনের ট্রিনিটি কলেজ এবং রয়্যাল কলেজ থেকে সঙ্গীত এবং বাদ্যযন্ত্রের ওপর পরীক্ষা নেওয়া হয়, যাকে গ্রেড পরীক্ষা বলে। কলকাতায় সেই ক্লাসটা হত ক্যালকাটা স্কুল অফ মিউজিকে। এছাড়াও ক্যালকাটা সিনে মিউজিশিয়ান’স অ্যাসোসিয়েশনের সঙ্গে যুক্ত ছিলেন মিহির গুপ্ত। একটা সময় সেখানকার সহ-সভাপতিও হয়েছিলেন উনি। সঙ্গীতজীবনের শুরুতে জয়দেব সঙ্গীত সম্মেলনের মতো ভারতীয় শাস্ত্রীয় সঙ্গীতের বৃহৎ মঞ্চেও মিহির গুপ্ত হাজির হয়েছিলেন নিজের বেহালা নিয়ে। তাঁর সুরের মূর্ছনায় মেতে উঠত গোটা জায়গা। একটা সময় কবিতা চর্চাও করেছিলেন মিহির গুপ্ত। ২০১০ সাল। কলকাতা বইমেলায় বেরিয়েছিল তাঁর কবিতার বই 'দুর্বিনীত'। একসময় গানও লেখার চেষ্টা করেছিলেন তিনি। স্মৃতিচারণে এমন কথাই তুলে ধরলেন মিহির গুপ্তের পুত্র কৌশিক গুপ্ত। অনেক কাজ অসমাপ্ত রেখে, ২০১৪ সালের আগস্ট মাসে প্রয়াত হন মিহির গুপ্ত। বেহালার তারটি যেন ছিঁড়ে গেল…

 কিন্তু এত সম্মান, এত বড়ো বড়ো কাজ করার পরও এতটুকুও অহংকার ছিল না তাঁর। বরাবরই ছিলেন মাটির মানুষ। নিজের প্রচার নিয়ে একদমই মাথা ঘামাতেন না; সেসব পছন্দও করতেন না। বেহালার মতো বাদ্যযন্ত্রে জিনিয়াস তো ছিলেনই, সেইসঙ্গে কীভাবে যে নিজের অহংকে সংযত রাখতেন, সেটা এক অবাক বিস্ময়। তাঁর হাত ধরে জন্ম নিয়েছে কত শিল্পী। বাংলার সঙ্গীতজগতের কাছে তিনি চিরকালের ‘মাস্টারমশাই’। অথচ সেভাবে সম্মানও পেলেন না তিনি। পারিবারিক অবস্থা খুব একটা ভালো কোনোদিনই ছিল না। তাতে কোনো আফসোসও ছিল না। নিজের ভাবনায়, সঙ্গীতে, বেহালার ছড়ের মধ্যেই তিনি খুঁজে পেতেন অপার শান্তি। সেখানেই ছিল তাঁর ঈশ্বর আরাধনা। জীবনের শেষদিন পর্যন্ত চেয়েছিলেন, তাঁর ছাত্রছাত্রীরা যেন প্রতিষ্ঠিত হয়। সেটা হয়েছেও। কিন্তু নিজে থেকে গেলেন ব্রাত্য। বাংলার সাধারণ মানুষের কাছে মিহির গুপ্ত একটি অপরিচিত নাম। এ আমাদেরই ব্যর্থতা, আমাদেরই অযোগ্যতা।

তথ্যঋণ, ছবিঋণ ও কৃতজ্ঞতা -
১) কৌশিক গুপ্ত, চিত্রশিল্পী এবং মিহির গুপ্তের পুত্র
২) অপর্ণা আইচ (জলি), মিহির গুপ্তের কন্যা
৩) অভিজিৎ ঘোষ, সঙ্গীতশিল্পী এবং মিহির গুপ্তের ছাত্র 

Powered by Froala Editor

More From Author See More