ফেলুদা-র পঞ্চাশ বছর পূর্তি উপলক্ষে তাকে নিয়ে আস্ত একখানা বায়োপিক বানিয়ে ফেলেছিলেন সাগ্নিক চট্টোপাধ্যায়। প্রিয়া ও নন্দনে মুক্তিও পেয়েছিল সেই ছবি। কাহিনিচিত্র নয়, তথ্যচিত্র। তাতে কী! আপামর ফেলুদা-প্রেমীরা চেটে-পুটে নিয়েছিল এই সিনেমার স্বাদ। প্রেক্ষাগৃহে পঞ্চাশ দিন পারও করেছিল ফেলুদার বায়োপিক ‘ফেলুদা: ফিফটি ইয়ারস্ অব রে’স ডিটেকটিভ’। কিন্তু তখনও বোঝা যায়নি, আসল সাফল্যের স্বাদ এখনও পাওয়া বাকি এই ছবির।
শুক্রবার জাতীয় পুরস্কার মঞ্চে দু-দুটি জাতীয় পুরস্কার ছিনিয়ে নিয়েছে এই ছবি। সেরা নন-ফিচার ফিল্মের জন্য পুরস্কৃত হয়েছে ‘ফেলুদা: ফিফটি ইয়ারস্ অব রে’স ডিটেকটিভ’। নন-ফিচার ফিল্মের সেরা ডেবিউ পরিচালকের পুরস্কার পেয়েছেন সাগ্নিক চট্টোপাধ্যায়ও। এর আগে বিজ্ঞাপনের ছবি বানাতেন সাগ্নিক। তারপর, ফেলুদার বায়োপিকে হাত দেওয়া। কোনও সাহিত্যের চরিত্রকে নিয়ে বায়োপিক এর আগে হয়নি এই দেশে। গোটা বিশ্বেও হয়ত হয়নি। ‘ফেলুদা: ফিফটি ইয়ারস্ অব রে’স ডিটেকটিভ’ তাই জন্মলগ্ন থেকেই ব্যতিক্রমী।
ফেলুদাকে ঘিরে থাকা অসংখ্য তথ্য, গল্পদের ছবি জুড়ে বুনে দিয়েছেন সাগ্নিক। কখনও চলে গেছেন সোনার কেল্লায়, কখনও পাড়ি দিয়েছেন বেনারস। বড়পর্দার ফেলুদা সৌমিত্র চট্টোপাধ্যায়, সব্যসাচী চক্রবর্তী এবং আবীর চট্টোপাধ্যায়ের সাক্ষাৎকার নিয়েছেন। কথা বলেছেন ফেলুদা চলচ্চিত্রের সঙ্গে জড়িয়ে থাকা অভিনেতা, কলা-কুশলীদের সঙ্গেও। সবটা মিলিয়ে বাঙালির অতি প্রিয় এই গোয়েন্দা দাদার বায়োপিকটি হয়ে উঠেছে আদ্যন্ত তথ্যনিষ্ঠ ও চমৎকার।
তারই স্বীকৃতি মিলল জোড়া জাতীয় পুরস্কারে। একে ফেলুদার বায়োপিক, তার ওপর এই পুরস্কারের খবর। বাংলার পাঠক-দর্শকদেরও জোড়া প্রাপ্তি যাকে বলে।