খাদে পড়েই উধাও ঝর্না, চিহ্ন নেই নদীরও, গতিপথের খোঁজে নাকাল বিজ্ঞানীরা

একটা ঝর্না সোজাসুজি গিয়ে পড়ছে একটা খাদে। বলা হচ্ছে বটে ঝর্না, কিন্তু আসলে ওটা একটা নদী। খাদে ঝর্না হয়ে পড়ার পরেই, ভ্যানিশ! ভোজবাজির মতো হাওয়া হয়ে গেল নদীটার বাকি অংশ। কোথায় গেল বাকি অংশ, সেটাই বড় রহস্য আমেরিকার ডেভিলস কেটলে জলপ্রপাতের।

আমেরিকার মিনাসোটায় অবস্থিত এই ৭০০ ফুট উঁচু অঞ্চল। এখানকার জাজ সি আর ম্যাগনে পার্কের মধ্যে দিয়ে বয়ে গেছে ব্রুল নদী। সেই নদীই গিয়ে পড়েছে এই খাদে। তৈরি করেছে বিশাল জলপ্রপাত।

কিন্তু, খাদে তো পড়ল। তারপর বাকি নদীটা কোথায় গেল? কোথায় গিয়ে মিশল? নদী তো এরকমভাবে হঠাৎ শেষ হয়ে যেতে পারে না। তাহলে? দীর্ঘ বহু বছর এটাই জিজ্ঞাস্য ছিল ভূবিজ্ঞানীদের। নানাভাবে পরীক্ষা করার চেষ্টা চলেছে। কখনও গাছের গুঁড়ি ফেলে, কখনও পিংপং বল ফেলে নদীর রাস্তা বোঝার চেষ্টা করা হয়েছে। কিন্তু, সবটাই বৃথা। সেই গাছের গুঁড়িও ফিরে আসেনি, সেই বলও নয়।

তবে দীর্ঘদিনের প্রচেষ্টার একটা ফসল পেয়েছেন বিজ্ঞানীরা। ভূগর্ভস্থ নদীর কোনো সম্ভাবনা দেখছেন না তাঁরা। কারণ, যদি তাই হত, তবে ওই অঞ্চলের পাথর তুলনামূলক নরম প্রকৃতির হত। কিন্তু আদপে তা নয় একেবারেই। ওই অঞ্চলের নিচে কোনো লাভা গহ্বরও নেই, যেটা একটা ‘হিডেন প্যাসেজ’ হতে পারে। তাহলে? বিজ্ঞানীদের সাম্প্রতিক ধারণা, নদীর বাকি অংশটা ওইখানেই আবার উঠে আসছে। জলপ্রপাতের জলেই এসে মিশছে। তবে সেটার বেগ এত যে, ভালমতো ধরাও যায় না। কিন্তু এই মতবাদে এখনও সিলমোহর পড়েনি। ডেভিলস কেটলের রহস্য কী, ব্রুলে নদীর রহস্যই বা কী, সেটাই সঠিক জানার আশায় সবাই।