শীতকাল এসে গেল। একে একে সমস্ত মেলার সময়কালও এগিয়ে এল। আর বাঙালির কাছে মেলা মানেই আজও সবচেয়ে বড়ো আকর্ষণ বইমেলা। কিন্তু এই করোনা পরিস্থিতিতে আদৌ কি সম্ভব বইমেলা? দীর্ঘদিন ধরেই এই প্রশ্ন ঘুরছে বাঙালি পাঠকদের মধ্যে। যদিও কিছুদিন আগেই সবাইকে আশ্বস্ত করে পাবলিশার্স অ্যান্ড বুকসেলার্স গিল্ডের সভাপতি ত্রিদিব চট্টোপাধ্যায় জানিয়েছিলেন, সময় পিছিয়ে গেলেও বন্ধ হবে না বইমেলা। আর সেই জট কাটাতেই আজ সল্টলেকে একটি একটি বৈঠকে উপস্থিত ছিলেন বিধাননগর ময়দানের তিনটি মেলার উদ্যোক্তারা।
যদিও এইদিন ‘বিধাননগর মেলা’ এবং ‘সরস মেলা’-র দিনক্ষণ নিয়ে সিদ্ধান্তে পৌঁছনো গেলেও বইমেলা নিয়ে দিনক্ষণের কোনো স্থির সিদ্ধান্ত নেওয়া যায়নি। গিল্ডের সভাপতি ত্রিদিব চট্টোপাধ্যায় বললেন, “আমরা আগে দেখি সরকারি মেলাগুলি নিয়ে কী ধরনের গাইডলাইন তৈরি হয়, বা আদালতের কী নির্দেশ থাকে। তারপরেই বইমেলা নিয়ে অন্তিম সিদ্ধান্তে পৌঁছনো যাবে।” সেইসঙ্গে তিনি এও বলেন, “বইমেলা হবে, এ ব্যাপারে আমরা এখনও আশাবাদী। সরকারও যথাসম্ভব সহযোগিতার প্রতিশ্রুতি দিয়েছে। তবে এখনও কিছুটা প্রস্তুতির প্রয়োজন।”
অন্যদিকে গিল্ডের অন্যতম সদস্য অপু দে বলছেন, “বইমেলার দিকে পাঠকদের মতোই তাকিয়ে আছেন আমাদের মতো পুস্তক বিপণিরাও। এবছর বইয়ের ব্যবসা অনেকটাই মার খেয়েছে। বইমেলাই ঘুরে দাঁড়ানোর সুযোগ।” যদিও ত্রিদিব চট্টোপাধ্যায় বলছেন, “ইতিমধ্যে লকডাউন এবং আমফানের ফলে বই ব্যবসায় যা ক্ষতি হয়েছে, তাতে বইমেলার সময় নতুন করে জটিলতা তৈরি হলে প্রকাশকরা সর্বস্বান্ত হয়ে পড়বেন। সেই কারণেই আমরা পরিস্থিতির উপর নজর রাখতে চাইছি। হঠাৎ কোনো সরকারি নির্দেশ বা আদালতের নিয়ম এসে পড়লে বই-ব্যবসাকে দাঁড় করানোর আর উপায় থাকবে না।”
তবে এই মাসের মধ্যেই সবদিক ভেবে একটা সিদ্ধান্তে পৌঁছনো যাবে বলে মনে করছেন গিল্ডের কর্তারা। হয়তো ফেব্রুয়ারিতেই বিধাননগর ময়দানে চেনা চেহারায় বইমেলার আসর বসতে চলেছে। স্বাস্থ্যবিধি সংক্রান্ত নিয়ম মেনে, বইমেলা থাকবে বইমেলাতেই।
আরও পড়ুন
বইমেলায় ঘুরে-ঘুরে নিজের বই বিক্রিতেও সংকোচ ছিল না তাঁর
ছবি- প্রতীকী
আরও পড়ুন
বন্ধ নয় কলকাতা বইমেলা, একমাস পিছিয়ে ২৮ ফেব্রুয়ারি থেকে শুরুর পরিকল্পনা গিল্ডের
Powered by Froala Editor
আরও পড়ুন
দু-বাংলার সেতু হয়ে হাজির প্রহর, একুশে বইমেলার আড্ডায় জয়ী হল ভাষাই