বড়দিন আসছে, ঝুলিতে উপহার নিয়ে হাজির হবে সান্টাক্লজ। শিশুদের বিশ্বাস এমনই। কারণ সান্টাই বাচ্চাদের কাছে সবচেয়ে কাছের মানুষ। হাজারো প্রত্যাশা নিয়ে সান্টার অপেক্ষায় থাকে শিশুরা। কিন্তু সব শিশুদের জীবন এক নয়। শুধুমাত্র ভারতের বাচ্চারাই নয়, ডোমেস্টিক ভায়োলেন্সের শিকার টেক্সাসের টেরান্ট প্রদেশের বাচ্চারাও। সান্টাকে লেখা সাত বছরের বালকের চিঠিতে ঝরে পড়ল এমনই বেদনা।
সেফহিভেন নামের একটি শেল্টারে মায়ের সঙ্গে থাকে ছোট্ট ব্লেক। তার মা ব্লেকের ব্যাগে কয়েক সপ্তাহ আগে সান্টাকে লেখা এই চিঠিটা খুঁজে পান। ছেলেটি চিঠিতে লিখেছিল, তার বাবা পাগল ছিলেন, সবসময় পরিবারকে ভয় দেখাত। তাই তারা বাড়ি ছেড়ে এখানে এসে আশ্রয় নিয়েছে। ব্লেক আগের ঘটনা মনে পড়লে এখনও দুশ্চিন্তায় ভোগে।
সান্টার কাছে তার দাবি ছিল বই, অভিধান, কম্পাস আর ঘড়ির। কিন্তু সে সবচেয়ে খুশি হবে একজন ভালো বাবা পেলে। চিঠিতে এমনই লেখে সে।
সেফহিভেন-এর ভাইস প্রেসিডেন্ট এমিলি হ্যানককের সহায়তায় এই চিঠিটি স্যোশাল মিডিয়ায় শেয়ার করা হয়। তারপর থেকেই বিশ্বের বহু মানুষ ব্লেককে সাহায্য করতে ইচ্ছে প্রকাশ করেছেন। এমনকি কেউ কেউ ডোনেশনও পাঠিয়েছেন ব্লেক ও তার পরিবারের জন্য। ব্লেককে একটা ভালো ক্রিস্টমাস উপহার দিতেই এমন উদ্যোগ সকলের।
ব্লেক কেবলমাত্র একটা উদাহরণ। গোটা বিশ্ব জুড়েই বহু শিশু বাবা-মায়ের অত্যাচারে ঘরছাড়া। প্রত্যেক বাবা-মায়ের কাছে ছেলেমেয়েরা সুষ্ঠু পরিবারই আশা করে। যদি একান্তই না হয়, তবু শিশুমনকে বিধ্বস্ত করা অনুচিত। চাওয়ার মধ্যে এটুকুই…