করোনার আবহেই সীমান্তে শুরু হল অশান্তি। নিহত হলেন ভারতীয় সেনাও। আর তার জেরেই আরও বেড়ে গেল ভারতের নিয়ন্ত্রণরেখার উত্তাপ। তবে এবার উল্টোদিকে পাকিস্তান নয়, দাঁড়িয়ে আছে চিন। এমন খবরে আবার নড়েচড়ে বসেছে দিল্লি।
পাকিস্তান আর চিন— ভারতের এই দুই প্রতিবেশীর সঙ্গে এর আগেও সংঘর্ষের পরিস্থিতি তৈরি হয়েছে। পাকিস্তানের কথা তো আমরা সবাই জানি। চিনের ক্ষেত্রে সেই ১৯৬২-এর যুদ্ধের পর তেমন পরিস্থিতি তৈরি হয়নি। সেরকম গুলি চালাচালিও হয়নি। একটা সদ্ভাব রাখার চেষ্টা করা হয়েছে সবসময়। তবে এবার পরিস্থিতি খারাপ হওয়ার দিকেই, এমনটাই মনে করছেন বিশেষজ্ঞরা। তার ওপর নেপালের সাম্প্রতিক কিছু ঘটনার দিকেও নজর রাখার কথা বলছেন তাঁরা। সেখানে চিনের প্রভাব বিস্তার ও ম্যাপ বিকৃতির ঘটনা এসবে ইন্ধন জোগাচ্ছে বলেও মনে করা হচ্ছে।
সমস্যা শুরু হয় মে মাস নাগাদ। পাকিস্তান আর চিনের মধ্যে একটি আন্তর্জাতিক করিডোর তৈরির পদক্ষেপ নেওয়া হয়। কিন্তু সেই উদ্যোগে আপত্তি জানায় ভারত। এদিকে ওই করিডোরের একটা অংশ ভারতের মধ্যে দিয়েই যেত। মূলত সেইজন্যই প্রতিবাদ জানায় ভারত। আর এটাই পরিস্থিতি খারাপ করে তোলে। মে মাসের গোড়ার দিকেই লাদাখে নিয়ন্ত্রণরেখা অতিক্রম করে চিনের বিশাল সংখ্যক সেনা ঢুকে পড়ে। জমায়েত শুরু হতেই দুই দেশের সেনাপ্রধানদের মধ্যে বৈঠক শুরু হয়। এর পাশাপাশি চলেছে হাতাহাতিও। এরই মধ্যে আবারও চিন ও ভারতের সেনা বৈঠক শুরু হয়। তারই মধ্যে এই হামলা যে সীমান্তের শান্তি প্রক্রিয়ায় ব্যাঘাত ঘটাল, তা বলাই যায়।
সূত্রের খবর, কোনো গোলাগুলি চলেনি চিন সীমান্তে। পাথর আর রড দিয়ে হামলা করা হয়। তাতেই শহীদ হন ভারতীয় সেনার এক কর্নেল ও দুই জওয়ান। এই সংঘর্ষে চিনের কয়েকজন সেনাও নিহত হয়েছে। তবে প্রকৃত সংখ্যা ঠিক কত, তা সঠিক জানা যাচ্ছে না। ১৯৭৫-এর পর আবার চিনা হামলায় মৃত্যুর ঘটনা ঘটল সীমান্তে। ব্যাপারটা যে ভালো চোখে নিচ্ছে না কেউ, তা জানিয়েছে নিউ দিল্লি। ইতিমধ্যেই প্রশাসনিক তরফে লাগাতার বৈঠক হচ্ছে। প্রধানমন্ত্রী, প্রতিরক্ষামন্ত্রীর তরফেও বৈঠক চলছে। তবে চিনের দাবি, ভারতই প্রথম হামলা চালায়। উত্তর-পাল্টা উত্তর, সব মিলিয়ে সীমান্ত আবার সংকটে।
আরও পড়ুন
ম্যান্ডেরিন ভাষা শেখালে তবেই মিলবে শিক্ষকদের মাইনে, চিনের প্রস্তাবে বিতর্কে নেপাল
Powered by Froala Editor
আরও পড়ুন
লাদাখ ও ভারত-চিন যুদ্ধ পরিস্থিতি— করোনার মধ্যে কোথায় যাবে সংঘাতের চিত্র?