কোথাও কালি, কোথাও দুর্গা, কোথাও বৈষ্ণোদেবী। সারা দেশজুড়েই মাতৃমূর্তির পুজো হয় কোনো না কোনো রূপে। তবে মাতৃপুজোর পরেও দেশে অবহেলিত কন্যাসন্তানরা। ১৯৯০ সাল থেকে ভারতে কন্যা ভ্রূণহত্যার সংখ্যা প্রতিবছর গড়ে ৫ লক্ষ। তবে ঝাড়খণ্ডের বোকারো জেলার চাকুলিয়া গ্রামের দৃশ্য খানিকটা অন্যরকমই। কন্যাসন্তান প্রাপ্তির জন্য সেখানে হাজার হাজার মানুষ জড়ো হন দেবীর কাছে। জানান প্রার্থনা।
এই গ্রামেই দেড়শো বছরের পুরনো মন্দিরে পুজিত হন সিদ্ধেশ্বরী মাতা। গ্রামবাসীদের কথায় অত্যন্ত জাগ্রত এই দেবীর কাছে প্রার্থনা করলেই প্রাপ্তি হয় কন্যাসন্তান। রয়েছে এমন কয়েকশো উদাহরণ। অধিকাংশ ক্ষেত্রে কন্যা সন্তানের নামও তার বাবা-মা রেখেছেন দেবীর বিভিন্ন নামেই। ভারতের বেশিরভাগ জায়গাতেই পণপ্রথা, গার্হস্থ্য হিংসার ছবি বারবার ফুটে ওঠে। সেখানে এমন এক দৃশ্য যেন টিমটিম করে জ্বালিয়ে রাখে আশার আলো।
সারা বছর ভিড় লেগেই থাকে এই মন্দিরে। তবে নবরাত্রিতে অন্য চেহারা তার। মন্দিরে বেশ জমজমাটভাবেই হয় দুর্গাপুজো। তবে এবছর মহামারীর কারণে নেই দর্শনার্থীদের ভিড়। নেই জমায়েত। শুধু গ্রামবাসীদের থেকে ভেসে আসছে নিঃশব্দ প্রার্থনা। আর মাতৃমূর্তি কখন যেন পুজোর ছলে হয়ে উঠছেন কন্যাসন্তান...
Powered by Froala Editor