একের পর এক দাবানল ঠিক যেভাবে কেড়ে নিয়েছে বহু বিরল প্রজাতির প্রাণীকে ঠিক সেভাবেই এই পৃথিবীর একটা বিশাল বনাঞ্চল কার্যত ফুরিয়ে যাওয়ার পথে। যতটুকু বেঁচে আছে তাকে সংরক্ষণ করার পাশাপাশি একটা উদ্ভাবনী আবিষ্কারে নড়েচড়ে বসেছেন পরিবেশপ্রেমীরা। কেমব্রিজ বিশ্ববিদ্যালয়ের একদল বিজ্ঞানী এমন এক কৃত্রিম পাতা আবিষ্কার করেছেন যা প্রায় পাতার মতোই সালোকসংশ্লেষ পদ্ধতিতে সূর্যরশ্মি থেকে জ্বালানি তৈরিতে সাহায্য করে। এমনকি এরউইন রিজনারের মতে, এই কৃত্রিম পাতার দ্বারা উৎপন্ন গ্যাস থেকে বায়ুমন্ডলে কখনই কার্বন ডাই অক্সাইড ছড়ায় না।
এই কৃত্রিম পাতার মাধ্যমে দূষণকে অনেকটাই নিয়ন্ত্রণে রাখা যাবে বলে বিজ্ঞানীমহলের ধারনা। এই পাতার মধ্যে আছে দুটি ভাগ। প্রথমটি উপরিভাগ, যা সূর্যের আলো সংরক্ষণে বিশেষ ভূমিকা নেবে এবং অন্যটি যা সংরক্ষিত শক্তিকে বিদ্যুতে পরিণত করে। সবচেয়ে আশ্চর্যের বিষয় হল, এই পাতা মেঘলা দিনেও ঠিক ততটাই কার্যকরী হবে যতটা অন্যান্য রোদ ঝলমলে দিনে হবে। প্রখ্যাত রসায়নবিদ ভার্জিল আন্দ্রেই এই বিষয়ে বলতে গিয়ে বলেছেন, শুধু গ্রীষ্মপ্রধান দেশেই এর অভিনবত্ব পাওয়া যাবে তাই নয়,পৃথিবীর সর্বত্র ভোর থেকে সন্ধে অবধি এটি ব্যবহারযোগ্য। সঙ্গে এও বলেছেন, তাঁদের লক্ষ্য ইথানলের মতো কিছু তৈরি করা যা সহজেই জ্বালানি হিসেবে কাজে লাগবে। সূর্যরশ্মি থেকে এটি বানানো তাঁদের কাছে যতই চ্যালেঞ্জ হোক, তাঁরা তাঁদের কাজে যথেষ্টই আত্মবিশ্বাসী।