মহামারী করোনা পরিস্থিতির মধ্যেই আমাদের মনোবল বাড়িয়ে দিচ্ছে অনেকের সুস্থ হয়ে ফিরে আসার ঘটনা। প্রথমে শরীরে করোনা ভাইরাসের সংক্রমণ দেখা গেলেও ১৪ থেকে ১৫ দিনের মধ্যেই সুস্থ হয়ে উঠেছেন অনেকে। রিপোর্ট নেগেটিভ আসায় খুশির মেজাজ দেখা গিয়েছে রোগী এবং তাঁর পরিজনদের মধ্যে। কিন্তু এখানেই যে শুভ সমাপন নয়, সেকথাই মনে করিয়ে দিচ্ছে সাম্প্রতিক গবেষণা। দেখা যাচ্ছে একমাস সময় পেরোতে না পেরোতেই তাঁদের শরীরে আবার ফুটে উঠেছে নানা ধরনের উপসর্গ। ইংল্যান্ডের ব্রিস্টল শহরের একটি হাসপাতালে সেরে ওঠা রোগীদের উপর পরীক্ষা করে এমন সিদ্ধান্তেই এসেছেন চিকিৎসকরা।
নর্থ ব্রিস্টল এনএইচএস ট্রাস্টের গবেষণা দলটি ১১০ জন সুস্থ হয়ে ওঠা করোনা রোগীর উপর পরীক্ষা চালিয়ে দেখতে পান ৮১ জনের শরীরেই আবার ফুটে উঠছে উপসর্গ। অর্থাৎ ৭৫ শতাংশ রোগীই পুরোপুরি সুস্থ হয়ে উঠছেন না। আর একমাসের মধ্যে এই উপসর্গ দেখা যাচ্ছে এবং সেই উপসর্গ স্থায়ী হচ্ছে অন্তত ৩ মাস। উপসর্গ বলতে বেশিরভাগ ক্ষেত্রেই দেখা যাচ্ছে শ্বাসকষ্ট, অতিরিক্ত ক্লান্তি বা পেশিতে টান। সময়ে সময়ে আবার জ্বর, কাশি বা স্বাদহীনতার মতো উপসর্গও দেখা যাচ্ছে। অনেক রোগীর আবার এমন কোনো উপসর্গ দেখা না গেলেও বেশিক্ষণ কাজ করার শক্তি পাচ্ছেন না। কারোর কারোর আবার মাথার চুল উঠে যাচ্ছে। সব মিলিয়ে পুরোপুরি সুস্থ জীবনে ফিরে আসতে পারছেন না কেউই।
বিশেষজ্ঞদের মতে, রোগমুক্ত হওয়ার পরেও এমন উপসর্গ দেখা দিলে সঙ্গে সঙ্গে চিকিৎসকদের পরামর্শ নেওয়া প্রয়োজন। কিন্তু ঠিক কী কারণে এইধরনের উপসর্গ দেখা যাচ্ছে, সেবিষয়ে স্পষ্ট কোনো উত্তর নেই কারোর কাছেই। আসলে করোনা ভাইরাসের চরিত্র ঠিকভাবে বুঝতেই এখনও ঢের বাকি। আর তাই দিল্লি এইমসেও চালু হয়ে গিয়েছে পোস্ট-কোভিড কেয়ার সেন্টার। আপাতত রোগীদের পর্যবেক্ষণে রাখা ছাড়া কোনো উপায় নেই বলেই মনে করছেন না চিকিৎসকরা।
Powered by Froala Editor
আরও পড়ুন
উপসর্গহীন শহরের ৭০ শতাংশ করোনা-আক্রান্ত, জানাল কলকাতা পুরসভা