ফুলের তাঁতে
এবং ফুলের অশেষ থেকে জীবন নেমে যাচ্ছে উদ্বেগের গহীন। যেখানে পল্লবের ভীড়ে পিঁপড়ার মৃদু যাতায়াতে— পথ পৃথিবীর মুখে বসন্তের দাগ। ততোদিনে আমাদের স্মৃতিতে, শৈত্যপ্রবাহ— তাড়াখাওয়া হরিণের দৌঁড় সরণিতে সমস্ত পরাজিত জীবন।
ক্ষুধার্ত আমরা আধখাওয়া পেয়ারায় কীটের খাদ্য দৃশ্য তবুও মেনে নিতে পারি না।
এদিকে, ফুলের তাঁতে বুনে চলেছি শিশুর ভাষা—
দু’একটা অবাধ কামিনীফুল
এবং বেদেনীর ভাষা দু’একটা অবাধ কামিনীফুল। ঝরে পড়লে, ভাঙা ফুলদানিও কান্নার মতো শোনায়। মেয়েটি ভেবেছিল: শীতকাল পাহারা দেয়া লোকটা— তাকে পাখিদের ভাষা শেখাবে; সে তাকে শেখাল খাঁচা। শেখাল, যে ফিরে আসে সে কখনও চলে যায়নি। ঘরপোড়া মানুষের কাছে খাঁচাও পাখির মতো আনন্দের।
অথচ ফেলে যাওয়া বাড়ি ভ'রে সারাজীবন উতলে ওঠে উঠোন...
মানসিকথা
এবং কথোপকথন এমন দরজা;
যার দু'পাশে দু'জন মানুষ অন্যপাশে ভেবে নিচ্ছে—
নিজেকে...