প্রাণবন্ত, ঝলমলে একজন মানুষ। সিনেমা হোক বা বাস্তব চরিত্র কখনওই পজিটিভিটির অভাব দেখা যায়নি তাঁর মধ্যে। সেই সুশান্ত সিং রাজপুতই আর নেই। মাত্র ৩৪ বছরেই জীবনের কবিতায় শেষ দাঁড়ি টানলেন তিনি। এই দুঃসংবাদ পাওয়ার পর স্তম্ভিত, হতবাক, বিস্মিত হয়েছেন প্রত্যেকেই। আর তাঁর পরিবার, আত্মীয়রা? তাঁদের কাছে কতটা বেদনার এই ঘটনা? ৪৮ ঘণ্টাও হয়নি। তাঁর মৃত্যুশোকে প্রাণ হারালেন সুশান্তের বৌদি সুধাদেবী।
সুশান্তের পারিবারিক এক দাদার স্ত্রী। পৈতৃক বাড়ির কাছেই বিহারের পূর্ণিয়ার বাসিন্দা তিনি। অসুস্থ ছিলেন বেশ কিছুদিন ধরেই। তার ওপরেই সুশান্তের মৃত্যুর খবরে মানসিকভাবে ভেঙে দিয়েছিল তাঁকে। দুঃসংবাদপ্রাপ্তির পর থেকেই খাওয়া-দাওয়াও করছিলেন না তিনি। শেষ অবধি সোমবার মুম্বাইয়ে সুশান্তের শেষকৃত্য চলাকালীনই বিকাল ৫টা নাগাদ প্রাণ হারান সুধাদেবী।
অন্যদিকে ভেঙে পড়েছেন সুশান্তের বাবা। ছেলের আত্মহত্যায় শোকস্তুব্ধ তিনি। সোমবার সকালে আরো কিছু আত্মীয় সঙ্গে তিনিও উপস্থিত হয়েছিলেন মুম্বাইতে। অংশ নিয়েছিলেন ছেলের শেষকৃত্যে। তাঁরও শারীরিক ভাবে অসুস্থ হয়ে পড়েন অনুষ্ঠানের সময়। সুশান্তের এই আকস্মিক চলে যাওয়াটাই মেনে নিতে পারছেন না পরিবারের কেউ-ই। মুম্বাইতে গতকাল সুশান্তের শেষযাত্রায় সঙ্গ দিয়েছিলেন শ্রদ্ধা কাপুর, কৃতি শ্যানন, রনভির শোরে। ছিলেন কাই পো চে’র ডিরেক্টর অভিষেক কাপুরও।
Powered by Froala Editor
আরও পড়ুন
পড়ে রইল একগুচ্ছ ব্যতিক্রমী ইচ্ছে, ভ্যান গঘের ‘স্টারি নাইট’-এর মতোই ছিলেন সুশান্ত