এই বিরাট ব্রহ্মাণ্ডের আদি-অন্ত কোথায়, কে তার খোঁজ রাখে? তবে যার খোঁজ পেলে এখনও আট থেকে আশি সকলের মধ্যেই উৎসাহ দেখা যায়, সেটা আর কিছুই নয়, ভিনগ্রহের প্রানীর সন্ধান। কিন্তু অনেক দাবি, অনেক আশাকে মিথ্যা প্রমাণ করে বিজ্ঞানীরা বারবার জানিয়ে দিয়েছেন, পৃথিবীর বাইরে প্রাণের কোনো অস্তিত্ব এখনও পাওয়া যায়নি। তবে, এবার কিন্তু বিজ্ঞানীরাই জানিয়েছেন, নতুন দুটি গ্রহে প্রাণের অস্তিত্ব থাকলেও থাকতে পারে। অন্তত প্রাণের অস্তিত্বের সমস্ত সম্ভবনাই প্রস্তুত সেখানে।
পৃথিবী থেকে এই দুই গ্রহের দূরত্ব মোটামুটি ১১ আলোকবর্ষ। গ্লিয়েস ৮৮৭ নামের বামন নক্ষত্রের চারিদিকে ঘুরে চলে এই দুই গ্রহ। সম্প্রতি চিলির ইউরোপিয়ান সাউথার্ন অবজার্ভেটরির হার্প্স স্পেক্ট্রোগ্রাফ প্রযুক্তির সাহাজ্যে এদের সন্ধান পাওয়া গিয়েছে। আর আপাতত যেটুকু তথ্য পাওয়া গিয়েছে, তাতে প্রাণের অস্তিত্বের উপযুক্ত আবহাওয়ার প্রমাণ মিলেছে। যদিও গ্লিয়েস ৮৮৭ থেকে গ্রহদুটির দূরত্ব বেশ কম। একেকটি বছর পেরিয়ে যায় মাত্র ৯.৩ এবং ২১.৮ দিনে। কিন্তু যেহেতু গ্লিয়েস ৮৮৭ একটি বামন নক্ষত্র, এবং তার ক্ষমতা আমাদের সূর্যের থেকে অনেকটাই কম, তাই নক্ষত্রের এত কাছে থেকেও সেখানে তাপমাত্রা খুব বেশি নয়।
অবশ্য এখনই এই দুই নক্ষত্রে প্রাণের অস্তিত্বের ব্যাপারে নিশ্চিত কিছু বলা সম্ভব নয় বলে মনে করছেন বিজ্ঞানী সান্দ্রা জেফার। এখনও অবধি শুধুই ভৌত অবস্থার অনুসন্ধান করা হয়েছে। কিন্তু গ্রহের মধ্যে জল এবং অন্যান্য অত্যাবশ্যক পদার্থের উপস্থিতি আছে কিনা, সেবিষয়ে তদন্তের প্রয়োজন। আবার গ্রহদুটি আকারে বড় হওয়ায় প্রাণ সৃষ্টির জন্য প্রতিকূল পরিবেশ সৃষ্টি হতে পারে। তবে বঙ্কুবাবুর বন্ধুরা যদি সত্যিই থেকে থাকে, তবে যোগাযোগের একটা সূত্র বোধহয় এবার পাওয়া গেল।
Powered by Froala Editor