আমাজনের ঘটনার পর, দাবানল ও জঙ্গল পোড়ার ঘটনা আরও তীব্রভাবে সামনে এসেছে। তবে শুধু আমাজনই নয়, আরও বেশ কিছু জায়গায় জঙ্গল পুড়ে যাওয়ার ঘটনা ঘটছে। যার সাম্প্রতিক সংস্করণ ইন্দোনেশিয়াতে। হেলিকপ্টার থেকে তোলা ছবিতে সেখানে দেখা যাচ্ছে, ঘন ধোঁয়ায় ঢেকে গেছে বন। আর ধোঁয়ার ফাঁক দিয়ে, নিচে দেখা যাচ্ছে সার দেওয়া আগুনের কুণ্ডলী।
গত মাসের শেষের দিকে, ইন্দোনেশিয়ার সুমাত্রা দ্বীপের দক্ষিণ অংশে এই অগ্নিকাণ্ড ঘটেছে। প্রথমে এই দ্বীপের পিটভূমির অল্প কিছু অংশে আগুন লাগলেও, পরবর্তীতে সেখান থেকেই পুরো বিষয়টা আরও ব্যাপক আকার নেয়। পরিবেশবিদরা বলছেন, ২০১৫ সালের পর এত বড় আগুন লাগার ঘটনা হয়নি। কিন্তু কারণ কী?
মূলত পরিবেশের অদ্ভুত খামখেয়ালিপনাকেই দায়ী করছেন পরিবেশবিদরা। অন্যান্য সময়ের তুলনায় ২০১৯ অত্যন্ত শুকনো কেটেছে এই দ্বীপের। গরমের তাপও যেমন বেশি ছিল, তেমনই ছিল শুখা ভাবও। এই বছরের গোড়ার দিকেই এমন সতর্কবার্তা দেওয়া হয়েছিল। আর সেই সতর্কবার্তাই বাস্তবে আমাদের সামনে উঠে এল।
এখনও আগুন পুরোপুরি নেভেনি এখানে। এই আগুনের প্রভাব পড়েছে দক্ষিণ সুমাত্রার রাজধানী পালেমবাংয়েও। সেখানকার আকাশ ঢেকে গেছে ঘন ধোঁয়ায়। অধিবাসীরা অসুস্থ হয়ে পড়ছেন। পরিবেশকে দায়ী করলেও, আসলে আমরাই কি দায়ী নই? আবহাওয়ার খামখেয়ালিপনা এই দেশে থেকেও যথেষ্ট অনুভব করছি আমরা। প্রতিদিন বাড়ছে সেই অবস্থা। নিজেদেরও কি প্রশ্ন করা উচিত নয় আমাদের?