লকডাউনের বিধিনিষেধ শিথিল হয়ে এসেছে প্রায় একমাস হতে চলল। একে একে খুলে গিয়েছে বিভিন্ন সরকারি এবং বেসরকারি দপ্তর। অথচ নিত্যযাত্রীদের দুর্ভোগ উঠেছে চরমে। অটো, ট্যাক্সির পর বাস চলাচল ক্রমশ স্বাভাবিক হয়ে এলেও কলকাতা ও মফঃস্বলের সবচেয়ে নির্ভরযোগ্য যোগাযোগ ব্যবস্থাই এখনও বন্ধ। হ্যাঁ, লোকাল ট্রেন। প্রতিদিন কয়েক লক্ষ মানুষের যাতায়াতের বাহন এখনও কারশেডে বন্দি।
তবে এবার পরিস্থিতির পরিবর্তন ঘটতে চলেছে। সবকিছু ঠিকঠাক থাকলে আগামী জুলাই মাস থেকেই চালু হতে পারে লোকাল ট্রেন। রেল মন্ত্রক সূত্রে এমনটাই জানানো হয়েছে। কেন্দ্রীয় নির্দেশ মেনে ৩০ জুন পর্যন্ত বন্ধ সমস্ত লোকাল, প্যাসেঞ্জার এবং মেল ট্রেন। এরপর যেকোনো দিন পরিষেবা চালু হতে পারে। প্রয়োজন শুধু রাজ্য সরকারের অনুমতির।
অন্যদিকে পশ্চিমবঙ্গ সরকারের তরফ থেকেও লোকাল ট্রেন চালু করার জন্য উদ্যোগ নেওয়া হয়েছে। শিয়ালদা এবং হাওড়া রেল ডিভিশন ইতিমধ্যে বিভিন্ন স্টেশনে ভিড় নিয়ন্ত্রণের জন্য পরিকাঠামো গড়ে তোলার কাজ শুরু করে দিয়েছে। টিকিট কাউন্টারের পাশাপাশি বিশেষভাবে সাজানো হচ্ছে সমস্ত প্রবেশ ও নির্গম পথ। টিকিট কাউন্টারে শারীরিক দূরত্ব বজায় রাখা, মাস্ক ব্যবহার এবং থার্মাল চেকআপ নিশ্চিত করার ব্যবস্থাও নেওয়া হচ্ছে।
স্বাভাবিক সময়ে প্রতিদিন শিয়ালদহ ডিভিশনে প্রায় ৫ লক্ষ যাত্রী যাতায়াত করেন। হাওড়া ডিভিশনে সংখ্যাটা ২ লক্ষ। তবে করোনার প্রকোপে এই সংখ্যাটা অনেকটাই কমতে পারে। একটি বারো কামরার রেল যেখানে প্রায় দেড় হাজার যাত্রী পরিবহন করে, সেখানে এই সংখ্যাটা অর্ধেকে নামিয়ে আনার সিদ্ধান্তও নিয়েছে রেল কর্তৃপক্ষ। তবে শীঘ্র লোকাল ট্রেন চালু হলে নিত্যযাত্রীদের দুর্ভোগ যে অনেকটাই মিটবে, সেটা বলাই বাহুল্য। প্রতিদিন কর্মক্ষেত্রে পৌঁছতে দীর্ঘ পথ সাইকেলে বা হেঁটে পাড়ি দিচ্ছেন যেসব কর্মচারী, তাঁরা এবার হাঁপ ছেড়ে বাঁচবেন।
Powered by Froala Editor