মাত্র ২ মাস আগেই তো সরকারি শিবিরে গিয়ে করোনার জন্য টিকা নিয়ে এসেছেন। নিশ্চিন্তে আছেন, এবার আর সংক্রমণের ভয় নেই। কিন্তু কিছুদিনের মধ্যেই শুরু হল মাথাব্যথা। সঙ্গে একটু জ্বর জ্বর ভাবও দেখা গেল। তবে করোনা নয় নিশ্চই। টিকা তো নেওয়াই আছে। কিন্তু শেষ পর্যন্ত যদি জানা যায়, টিকা নেওয়ার পরেও করোনা সংক্রমণের শিকার আপনি! অবাক হবেন নিশ্চই? ঠিক এমন ঘটনাই ঘটেছে নিউ ইয়র্ক শহরের এক চিকিৎসকের সঙ্গে। এই ঘটনা এবং আরও আনুষাঙ্গিক বেশ কিছু তথ্য থেকে চিকিৎসকরা একথাই বলছেন, টিকা নিলেও করোনা আতঙ্ক থেকে মুক্তির উপায় নেই।
একটি সমীক্ষায় দেখা গিয়েছে, টেক্সাস শহরের ৮ হাজারের বেশি চিকিৎসক ও স্বাস্থ্যকর্মী ফাইজার বায়োটেকের টিকা নিয়েছেন। তাঁদের মধ্যে ৪ জনের শরীরে এই প্রতিষেধক কোনো কাজ করেনি। অন্যদিকে সান-দিয়েগোতে প্রায় ১৫ হাজার গ্রহীতার মধ্যে ৭ জনের শরীরে কাজ করেনি প্রতিষেধক। সংখ্যাটা খুব আশঙ্কাজনক না হলেও পুরোপুরি নিশ্চিন্ত হওয়ার উপায় নেই।
অন্তিম পর্যায়ের ক্লিনিক্যাল ট্রায়ালের রিপোর্ট অনুযায়ী, ফাইজার কোম্পানির প্রতিষেধক ৯৫ শতাংশ কার্যকর। অর্থাৎ কোভিড সংক্রমণের থেকে সম্পূর্ণ মুক্তি যে মিলবে না, সে-কথা চিকিৎসকরা আগেই জানতেন। কিন্তু সাধারণ মানুষ এই ৫ শতাংশ অনিশ্চয়তাকে পুরোপুরি উপেক্ষা করে গিয়েছেন। অন্যদিকে ভারতে যে দুটি প্রতিষেধক দেওয়া হচ্ছে, তাদের কার্যকারিতা আরও কম। কোভিশিল্ডের কার্যকারিতা ৯০ শতাংশ। আর অন্যদিকে কোভ্যাক্সিনের কার্যকারিতা আরও কম। মাত্র ৮০ শতাংশ। ফলে প্রতিষেধক নেওয়ার পরেও বহু মানুষের মধ্যেই সংক্রমণের ভয় থেকে যায়। আর এই সময়টাই ভাইরাসের মোকাবিলার জন্য সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ বলে মনে করছেন চিকিৎসকরা। তার জন্য শুধু প্রয়োজন মানুষের সচেতনতা। টিকা এসে গিয়েছে ভেবে নিশ্চিন্ত হলে বিপদ ঘটবে। তাই স্বাস্থ্যবিধি মেনে চলার দিন এখনও শেষ হয়নি। সবার কাছে সেই আবেদনই রাখছেন চিকিৎসকরা।
Powered by Froala Editor
আরও পড়ুন
গায়ত্রী জপে সারবে করোনা! এইমস-কে গবেষণার নির্দেশ কেন্দ্রের