সমুদ্রের দেখতে গিয়ে তার নৈসর্গিক সৈকতের দৃশ্য তো সকলকেই মুগ্ধ করে। কিন্তু এইসব ঢেউ কোত্থেকে কোথায় যায় তার খবর আর আমরা কজনই বা রাখি? এমনকি সমুদ্র বিশেষজ্ঞরাও সমস্ত স্রোতের খোঁজ রাখেন না। সম্প্রতি তাই আরেক স্রোতের সন্ধান পেয়ে উচ্ছ্বসিত বিজ্ঞানীরা। আর এই স্রোত নাকি পৃথিবীর অন্যতম বৃহৎ একটি ‘জলপ্রপাত’এর উৎস।
গ্রিনল্যান্ড এবং স্কটল্যান্ডের মাঝে ফ্যারো ব্যাঙ্ক চ্যানেল ওভারফ্লো ঠিক পরিচিত অর্থে কোনো জলপ্রপাত নয়। কারণ তার চারিদিকেই আছে জল। কিন্তু ভূতাত্ত্বিকদের মতে গঠনগতভাবে জলপ্রপাতের সঙ্গে এর কোনো পার্থক্যই নেই। কিন্তু জলপ্রপাতের তো একটা উৎস প্রয়োজন। মানে নদী বা অন্যকিছু। এক্ষেত্রে সেই উৎসটা কোথায়? দীর্ঘদিন ধরেই এই প্রশ্নের উত্তর খুঁজে এসেছেন গবেষকরা। আর সেই সূত্রেই আটল্যান্টিক মহাসাগরের গভীরে পাওয়া গেল নতুন এক সমুদ্রস্রোতের সন্ধান।
১৯৯০ দশকের গোড়ার দিকে একদল বিজ্ঞানী বলেছিলেন পশ্চিমদিক থেকে আসা ফ্যারো-সিটল্যান্ড স্রোতের কারণেই জন্ম নিয়েছে এই জলপ্রপাত। কিন্তু তাতে যেন সমস্ত হিসাব ঠিক মিলত না। তবে সম্প্রতি ইউআরআই স্কুল অফ ওসেনোগ্রাফির গবেষকরা সম্প্রতি দেখিয়েছেন যে পূর্বদিক থেকে আগত স্রোতের কারণেই জন্ম নিয়েছে এই জলপ্রপাত। গবেষক থমাস রাসবির কথায়, এই আবিষ্কার প্রমাণ করে দেয় সমুদ্রের কত রহস্যই আমাদের এখনও অজানা। আগামী দিনে হয়তো এমন অনেক আবিষ্কার ক্রমশ পৃথিবীকে চিনতে আরও সাহায্য করবে।
Powered by Froala Editor
আরও পড়ুন
নদী নয়, হিমবাহের প্রবাহেই তৈরি হয়েছে মঙ্গলের উপত্যকা, জানাল নতুন গবেষণা