ক্ষেতে চাষ করতে করতে হঠাৎই লাঙ্গল আটকে গেল। মাটির তলায় নির্ঘাত শক্ত কোনো পাথর আছে। একটু খোঁজ করতেই বেরিয়ে এল আসল রহস্য। পাথর নয়, এ যে মূর্তি! এমনই ঘটনা ঘটল অন্ধ্রপ্রদেশের অনন্তপুর জেলার কালাগডু গ্রামে। সঙ্গে সঙ্গেই ঐতিহাসিক ও প্রত্নতাত্ত্বিকদের আকর্ষণ কেড়ে নিয়েছে গ্রামটি।
গ্রামেরই এক কৃষক হরিজন ভান্নুরাপ্পার ক্ষেত থেকে এই মূর্তিটি পাওয়া গেছে। সকালবেলায় তাঁর ছেলে চাষের কাজ করতে যাওয়ার সময় মাটি থেকে প্রায় দু-ফুট লম্বা মূর্তিটি পান। সঙ্গে সঙ্গেই খবর চলে যায় রায়াদুর্গের হেরিটেজ অ্যাসোসিয়েশনের কাছে। সেখানকার সদস্য এবং প্রত্নতাত্ত্বিকরা কালাগডু গ্রামে এসে মূর্তিটিকে পরীক্ষা করেন। তারপর সেটাকে উদ্ধার করে নিয়ে যাওয়া হয়। পরবর্তীতে মূর্তিটিকে পরীক্ষা করে এর প্রাচীনত্ব সম্পর্কে নিশ্চিত হন ঐতিহাসিক ইমানি শিবা নাগিরেড্ডি। আপাতত মূর্তিটি অনন্তপুরের আর্কিওলজিকাল মিউজিয়ামে জায়গা পেয়েছে।
জানা গেছে, দু-ফুট লম্বা মূর্তিটি সূর্যদেবের। গ্রানাইট পাথরে তৈরি বিগ্রহের দুই হাতে রয়েছে দুই পদ্ম। যেরকম গঠন, তাতে এটি আনুমানিক দশম শতকে তৈরি বলে মনে করা হচ্ছে। ঐতিহাসিক শিবা নাগিরেড্ডির মতে, সেই সময় এই জায়গার শাসনভার ছিল নোলাম্বা রাজবংশের কাছে। তাঁদের সময়ই সম্ভবত মূর্তিটি তৈরি করা হয়েছিল। উল্লেখ্য, কালাগডু গ্রাম এবং তার আশেপাশের অঞ্চল থেকে এর আগেও বেশ কিছু মূর্তি উদ্ধার করা হয়েছে। সবগুলোই মোটামুটি একই সময়ের তৈরি। ঐতিহাসিকদের অনুমান, মাটির ভেতর প্রত্নতাত্ত্বিক অনুসন্ধান চালালে আরও বেশ কিছু জিনিস পাওয়া যেতে পারে।
Powered by Froala Editor