রাস্তায় বেরোলেই চারিপাশটা কেমন ফাঁকা ফাঁকা লাগছে। একটু এগোলেই দেখা যাবে পড়ে আছে গাছের ভাঙা অংশ। কোথাও কোথাও ভাঙা দেহটা পড়ে আছে রাস্তার পাশেই। অন্যদিকে মাটিতে শুয়ে আছে একের পর এক বিদ্যুতের খুঁটি। তারের জঙ্গল আকাশ থেকে ছড়িয়ে পড়েছে ফুটপাতে। কলকাতার উত্তর থেকে দক্ষিণ, এমনকি চব্বিশ পরগনার অসংখ্য জায়গায় এই ছবিটাই ফুটে উঠছে। সৌজন্যে, আমফান।
সুপার সাইক্লোন পেরিয়ে গেছে এক সপ্তাহ হতে চলল। শহরের অনেক জায়গা থেকে জলও নেমেছে। স্বাভাবিক হওয়ার প্রবল চেষ্টায় সকলেই। কিন্তু এখনও একটা বড়ো অংশ অন্ধকারে ডুবে রয়েছে। বাড়িতে অসুস্থ মানুষ, গরমে কষ্ট হচ্ছে; কিন্তু কিছুই করার নেই। একটু একটু করে বিদ্যুৎ এলেও, গোটা শহর ও এর বাইরের অবস্থা সম্পূর্ণ সুস্থ হয়নি। আমফানের পরের দিন থেকেই সমস্ত শক্তি নিয়ে ময়দানে নেমেছেন সিইএসসি’র কর্মীরা। কিন্তু এখনও প্রায় এক লক্ষ গ্রাহকের ঘরের আলো জ্বলেনি। এই দুর্দশার কথা কার্যত স্বীকার করে নিলেন সিইএসসি কর্তৃপক্ষ।
তবে কর্তৃপক্ষ জানাচ্ছেন, অবস্থা শীঘ্রই ঠিক হয়ে যাবে। ধ্বংসের পরিমাণ এত যে কাজ করতে হিমশিম খাচ্ছে সবাই। তাঁদের দাবি, মোট ১৫০টি দল কাজ করছে জোরকদমে। সময় লাগলেও, অবস্থা স্বাভাবিক হয়ে যাবে এর মধ্যেই। ততক্ষণ অন্ধকারের মধ্যেই কাটাচ্ছে শহরের একটা অংশ।
Powered by Froala Editor