রাস্তার ফুট চারেক তলা দিয়েই বয়ে চলেছে নর্দমা। কে জানত, সেখানেই লুকিয়ে রয়েছেন গ্রিক দেবতা হার্মিস। হ্যাঁ, সম্প্রতি এমন বিচিত্র ঘটনাই ঘটে গেল এথেন্সে। ফুটপাথে ঢাকা ড্রেনের মধ্যেই মিলল পাথরের তৈরি হার্মিসের প্রাচীন মূর্তি। গ্রিসের সংস্কৃতি মন্ত্রকের তরফেই প্রকাশ্যে আনা হয় এই তথ্য।
প্রত্নতাত্ত্বিকদের মতে, মূর্তিটির আনুমানিক বয়স প্রায় ১৭০০ বছর। তৃতীয় শতকের শেষ ভাগে অথবা চতুর্থ শতকের শুরুতেই বানানো হয়েছিল মূর্তিটি। প্রায় অক্ষত অবস্থাতেই উদ্ধার করা হয় সেটিকে। বর্তমানে গ্রিক সরকারই সংরক্ষণ করেছে ঐতিহাসিক এই শিল্পকর্মকে। তবে এর প্রত্নতাত্ত্বিক মূল্য কত, সে ব্যাপারে মুখ খোলেনি গ্রিক সরকার।
তবে মূর্তি বললেও এটি সম্পূর্ণ মূর্তি নয়। কেবল হার্মিসের আকণ্ঠ মস্তক। গ্রিসে একসময় কেবল এই মস্তকের শিল্পকলারই প্রাচুর্য ছিল। রাস্তার দু’ধারে থামের ওপরেই বসানো হত তাদের। তবে ব্যতিক্রমও ছিল। মাথার সঙ্গে ধরের অস্তিত্বও দেখা গেছে বেশ কিছু ক্ষেত্রে। এক্ষেত্রেও তেমনটাই। তবে কোনোভাবে দেহের সম্পূর্ণ গঠন থেকে ছিন্ন হয়ে গেছে তার মাথা। মূর্তিটির পরীক্ষা করে এমনটাই নিশ্চিত করেছেন বিশেষজ্ঞরা।
গ্রিক মাইথোলজিতে হার্মিস হলেন দেবতা জিউসের পুত্র। ঈশ্বরের বার্তাপ্রেরক তিনি। সেইসঙ্গে মানুষের পথপ্রদর্শকও। অভিযাত্রী এবং ব্যবসায়ীদের পথ দেখিয়ে নিয়ে যেতেন তিনিই। সেই মাইথোলজির হিসাবেই রাস্তার দু’ধারে স্থাপিত হত হার্মিসের মূর্তি। এথেন্সের বর্তমান রাজপথের জায়গাতেই একসময় হয়তো ছিল কোনো বাণিজ্যপথ, কিংবা সেখানেই ছিল প্রাচীন কোনো নগরীর অস্তিত্ব। সেই সম্ভাবনাকেই উস্কে দিল এই মূর্তি। আরেকবার মিলিয়ে দিলেন বর্তমান আর অতীতকে...
Powered by Froala Editor