করোনা ভাইরাসের দাপট দিন দিন বেড়েই চলেছে দেশজুড়ে। রাজ্যেও আক্রান্তের গ্রাফ ঊর্ধ্বমুখী। এই পরিস্থিতিতে পরীক্ষা নেওয়া, ছাত্র-ছাত্রীদের নতুন করে সংক্রমণের দিকে ঠেলে দেওয়া হবে। তাই পরিবর্তিত তারিখ ঘোষণার পরেও উচ্চমাধ্যমিক পরীক্ষা বাতিল করার সিদ্ধান্ত নিয়েছিল রাজ্য সরকার। একইভাবে এবার বাতিল হচ্ছে কলেজ-বিশ্ববিদ্যালয়ের ফাইনাল সেমিস্টারের পরীক্ষাগুলিও। কাল সেই নির্দেশিকা প্রকাশ করে জানাল রাজ্য শিক্ষা দপ্তর।
তবে পরীক্ষা না হলেও বিগত বছরের পরীক্ষার নম্বরের ভিত্তিতেই পাশ করানো হবে ছাত্রদের। চূড়ান্ত নম্বরের ৮০ শতাংশ নির্ধারণ করা হবে বিগত বছরগুলির ফলাফলের ভিত্তিতে। স্নাতকস্তরের জন্য এক্ষেত্রে বিচার করা হবে শেষ ৫টি সেমিস্টারের নম্বর এবং স্নাতকোত্তরের জন্য দেখা হবে শেষ ৩টি সেমিস্টারের ফলাফল। বাকি ২০ শতাংশ নম্বর নির্ধারণ করবে ফাইনাল সেমিস্টারের ইন্টারনাল অ্যাসেসমেন্ট।
তবে এর পাশাপাশিই জানানো হয়েছে, যদি কোনো পরীক্ষার্থী এই ফলাফলে সন্তুষ্ট না হন, তবে পুনরায় পরীক্ষার জন্য বিশেষভাবে আবেদন করতে পারেন তিনি। তবে সেই পরীক্ষা করোনার পরিস্থিতি স্বাভাবিক না হওয়া অবধি নেওয়া সম্ভব হবে না বলেই জানানো হয়েছে।
এই নির্দেশিকার শনিবার রাতেই পাঠানো হয় রাজ্যের সমস্ত বিশ্ববিদ্যালয়গুলির অধ্যক্ষ এবং উপাচার্যদের। ইঞ্জিনিয়ারিং, ল’, ম্যানেজমেন্ট, ফার্মাসি এবং শিক্ষক প্রশিক্ষণ সমস্ত ক্ষেত্রেই প্রযোজ্য হবে এই সুপারিশ। পাশাপাশি ৩১ জুলাইয়ের মধ্যেই প্রকাশ করতে হবে শিক্ষার্থীদের ফলাফল, নির্দেশ দিয়েছে রাজ্য শিক্ষা দপ্তর।
একদিকে যখন বাতিল হয়ে গেল উচ্চমাধ্যমিক এবং সমস্ত উচ্চশিক্ষার পরীক্ষাগুলি, তেমনই অন্যদিকে বাতিল হয়েছে ন্যাশনাল এলিজিবিটি এন্ট্রান্স টেস্ট (NEET)-ও। গত শুক্রবার কেন্দ্রীয় মানব উন্নয়ন দপ্তরের পক্ষ থেকেই ঘোষিত হয়েছিল, ভয়ঙ্কর এই পরিস্থিতি থেকেই পরীক্ষার্থীদের সুরক্ষা দিতে স্থগিত করা হচ্ছে এই পরীক্ষা। সব মিলিয়ে, করোনা-পরিস্থিতি যে শিক্ষাব্যবস্থাকে অচল করে দিয়েছে প্রায়, তা বলাই যায়।
Powered by Froala Editor
আরও পড়ুন
দেশের করোনা-আক্রান্তের সংখ্যা ছাড়াল ৫ লক্ষ, একদিনে রেকর্ড সংক্রমণ রাজ্যেও