প্রথমে পত্রিকা, তারপর তাকে ঘিরেই গড়ে ওঠা ব্যবসা। না ঠিক পত্রিকা বা বইয়ের ব্যবসা নয়। একদম অন্যপ্রান্তের একটা কাজ। অথচ সম্পূর্ণ ব্যবসাকেই ঘিরে রেখেছে বইমেলা। বইমেলা কাছে এলে বাড়ে কাজের তোড়জোড়। নতুন নতুন জিনিস তৈরি। পত্রিকাও বন্ধ হয়ে যায়নি। চলছে নিজের তালেই। ঠিক যেমন ট্রেনলাইনের ধারে আমরা দেখি, একটা অশ্বত্থের গা জড়িয়ে গজিয়ে ওঠা আরেকটি বট। এমনই একে অপরের অবলম্বন হয়ে তৈরি হয়েছে এক স্টার্টআপ। তাও কলকাতা বইমেলার মাঠেই। হ্যাঁ শুরুটা বইমেলা ঘিরে বললে তা ভুল বলা হবে না।
পত্রিকার নাম ‘আখরপত্র’, আর ব্যবসার নাম ‘আদরে আখরে’। পাশাপাশি বেড়ে ওঠা দুটি আত্মীয় গাছ। আর মালির নাম শালিনী ঘোষ। বইমেলার কিছু পরিচিত মুখের অন্যতম ইনি। হ্যান্ডমেড ডায়রি থেকে হাতে আঁকা ব্যাগ। ওঁর বসার জায়গায় গেলে ফিরে আসতে পারবেন না খালি হাতে।
কিন্তু কেন? লিটল ম্যাগাজিন সঙ্গে নিয়ে অন্য কিছুও তো করা যেত, নয় কি? উত্তর দিতে দিতে চোখে জল চলে এল শালিনীর। বইমেলা তাঁর কাছে কী, তা তিনি বোঝাতে পারবেন না এককথায়।
শালিনী চান তাঁর পত্রিকা স্বাবলম্বী হোক। প্রেস বা বাঁধাইখানার মতোই লেখকদেরও পরিশ্রমের দাম দিতে পারুক আখরপত্র। ব্যবসার টাকা থেকেই এখন পত্রিকা চালান তিনি, অতএব পত্রিকার দুঃখী সেজে থাকায় বিশ্বাসী নন।
শালিনী বইমেলার উজ্জ্বল তরুণ। বছরের পর বছর মেলার মাঠে মাটিতেই পসার সাজাচ্ছেন, ভিড় জমিয়ে দিচ্ছেন চারপাশে। মন থেকে লিটল ম্যাগাজিন করা এই লড়াকু মানু্ষগুলিই আরও এগিয়ে যান, চায় প্রহর।