ব্যবহৃত টিভি, কম্পিউটার, মোবাইল। দিনের পর দিন এগুলিই রপ্তানি করা হচ্ছে এশিয়া-আফ্রিকার উন্নয়নশীল দেশগুলিতে। শুধু ইলেকট্রনিক দ্রব্যই নয়, অন্যান্য বর্জ্যও রপ্তানি করা হয় নিয়মিত। কারা করে? উত্তরও সহজ। প্রথম বিশ্বের দেশগুলি। আর এর ফলেই তৃতীয় বিশ্বের দেশগুলিতে জমে উঠছে বর্জ্যের পাহাড়। এই ব্যবস্থার প্রতিই এবার পদক্ষেপ নিল শ্রীলঙ্কা। ব্রিটেন মুলুকের পাঠানো ২১টি বর্জ্যভর্তি কন্টেনার শ্রীলঙ্কা ফেরত পাঠাল সে-দেশেই।
শ্রীলঙ্কার শুল্ক দপ্তরের কর্মকর্তারা জানিয়েছেন, একটি ব্রিটিশ সংস্থা থেকে ২০১৭ সালে আমদানি করা হয়েছিল ২৬৩টি কন্টেনার। তবে চালানে বলা হয়েছিল ব্যবহৃত বিছানা, কার্পেট এবং কম্বল রপ্তানি করা হচ্ছে শ্রীলঙ্কায়। তবে দেশে পৌঁছানোর পরই শ্রীলঙ্কার আধিকারিকদের নজরে আসে বেশ কিছু কন্টেনারের মধ্যেই রয়েছে হাসপাতালের বর্জ্য, প্লাস্টিক এবং পলিথিন।
হাসপাতালজাত বর্জ্যে ভরা ২১টি কন্টেনারকে শ্রীলঙ্কার শুল্ক দপ্তরের আধিকারিকেরা চিহ্নিত করেছিলেন ‘বিপজ্জনক বর্জ্য’ হিসাবেই। রপ্তানিকরণের আন্তর্জাতিক আইন লঙ্ঘন করার অভিযোগে ২০১৮ সালে আইনানুগ ব্যবস্থাও নিয়েছিল শ্রীলঙ্কা কর্তৃপক্ষ। কার্যত তার বছর দুয়েক পর প্রকাশিত হল সেই মামলার রায়।
সেই রায়ের ভিত্তিতেই ২১টি বর্জ্যের কন্টেনার ফিরিয়ে নিতে বাধ্য হয়েছে যুক্তরাজ্যের সংস্থাটি। পরিমাণ প্রায় ২৬০ টন। সম্প্রতি জাহাজে করে যুক্তরাজ্যের উদ্দেশ্যে ফেরত পাঠানো হয় কন্টেনারগুলিকে।
ইউরোপিয়ান অ্যালায়েন্স এবং ইউরোপিয়ান ইউনিয়ন শ্রীলঙ্কাকে আশ্বাস দিয়েছে, বিশদে তদন্ত শুরু করবে তারা। অন্যদিকে আরও বেশ কিছু তৃতীয় বিশ্বের দেশও এমন অভিযোগ জানিয়েছে। উল্লেখ্য, গত জানুয়ারিতেও মালয়েশিয়ায় অবৈধভাবে পাঠানো হয়েছিল প্লাস্টিকজাত বর্জ্যের ৪২টি কন্টেনার। সেবারেও কাঠগড়ায় উঠেছিল যুক্তরাজ্যেরই নাম...
Powered by Froala Editor
আরও পড়ুন
জমছে প্লাস্টিকের বর্জ্য, আবারও দূষণের শিকার ইংল্যান্ডের ‘গর্ব’ টেমস নদী