দীর্ঘদিনের করোনা আতঙ্ক কাটিয়ে দক্ষিণ কোরিয়াতেও শিথিল হয়ে এসেছে লকডাউন। বার বা ক্যাফেতে এখন একটা টেবিলে গিয়ে বসতে পারেন একজন। অথবা দুজন, তবে অপরিচিত হলে চলবে না। আসলে সিওল সহ অন্যান্য হাইটেক শহরের প্রাত্যহিক জীবন থেকে বার এবং ক্যাফেটেরিয়াকে তো আর বাদ দেওয়া যায় না। শুধু একটু সতর্কতার সঙ্গে শারীরিক দূরত্ব মেনে চলতেই হবে। কিন্তু এ তো গেল কাস্টমারদের কথা। কিন্তু ক্যাফে কর্মচারীদের সুরক্ষার জন্য কী ব্যবস্থা নিয়েছে কর্তৃপক্ষ?
ক্যাফে এবং বারের কর্মচারী, ওয়েটারদের করোনা সংক্রমণের হাত থেকে বাঁচাতে বরং তাঁদের অনাহারের দিকেই ঠেলে দিয়েছে কর্তৃপক্ষ। বার এবং ক্যাফে খুললেও অধিকাংশ ক্ষেত্রেই সেখানে নেই কোনো মানুষ কর্মচারী। একটি বা দুটি রোবট সামলাচ্ছে ক্যাশ কাউন্টার থেকে ক্রেতাদের টেবিল, সবটাই। যখন যা প্রয়োজন, কেবল একটি বোতাম টিপুন, পুতুলের মতো দেখতে একটি রোবট এনে দেবে সবই। আর রোবটের যেমন সংক্রমণের ভয় নেই, তেমনই রোবটের শরীর থেকে মানুষের শরীরেও সংক্রমণের ভয় নেই।
১১ হাজার ব্যক্তির শরীরে করোনা সংক্রমণ এবং ২৬৭ জনের মৃত্যুর পর অবশেষে ধীরে ধীরে স্বাভাবিক ছন্দে ফিরছে দক্ষিণ কোরিয়ার জীবন। আর এই সময় শারীরিক দূরত্ব বজায় রাখাই একমাত্র সমাধান। আর তার জন্য রোবটের উপর বেশি মাত্রায় নির্ভর করতে চাইছে সিওল নগর কর্তৃপক্ষ। রোবট প্রস্তুতকারক সংস্থাও জানিয়েছে চলতি বছরের মধ্যেই ৩০টি ক্যাফেতে রোবট কর্মচারীর যোগান দেবে তারা। এমনকি একেবারেই অভ্যস্ত না হলেও রোবট-ওয়েটারকে মেনে নিয়েছেন ক্রেতারাও।
তবে এই পরিস্থিতিতে উঠছে বেকারত্বের প্রশ্নও। মানুষের শৈল্পিক ও বৌদ্ধিক বিকাশ ছাড়া সব কাজই যন্ত্রকে দিয়ে অনেক সহজে এবং তাড়াতাড়ি করানো সম্ভব। কিন্তু তার ফলে যে অসংখ্য শ্রমিক কাজ হারাবেন, তাঁদের কী হবে? কোথায় যাবেন সিওল শহরের বার এবং ক্যাফে কর্মচারীরা? এই প্রশ্নও তুলছেন নিয়মিত ক্রেতাদেরই একাংশ।
আরও পড়ুন
করোনা প্রতিরোধে রোবট মোতায়েন করল আফ্রিকার এই দেশ
Powered by Froala Editor
আরও পড়ুন
সিঙ্গাপুরের পার্কে নজরদারি রোবট-কুকুরের, শারীরিক দূরত্ব নিশ্চিত করতে উদ্যোগ