কিছুদিন আগের ঘটনা। একটি ইঞ্জিনিয়ারিং কলেজের হোস্টেল থেকে তৃতীয় বর্ষের এক ছাত্রের ঝুলন্ত দেহ উদ্ধার করা হল। আত্মহত্যার কারণ মানসিক অবসাদ। অনন্ত মানসিক চাপ বাড়তে বাড়তে এমন ঘটনা আজ নতুন নয়। প্রতিদিন এই প্রজন্ম তলিয়ে যাচ্ছে যেন এক অতলান্তিক অবসাদে। কিন্তু এর উপায়? কারো কাছে উপায় মানে কাউন্সিলিং, কেউ বা ভরসা রাখছেন শরীরচর্চাতে। আবার কেউ কিছুদিনের জন্য হাওয়া বদল করে ফিরে আসছেন দৈনন্দিন জীবনে।
একদম অন্য পথে হেঁটে নেদারল্যান্ডসের নিজমেগান শহরের র্যাডবউড বিশ্ববিদ্যালয় এক আশ্চর্য পথ বাতলে দিয়েছে। এই বিশ্ববিদ্যালয় সমস্ত ছাত্রকে গ্রেভ থেরাপি গ্রেভ থেরাপির কথা জানিয়েছে। কী এই গ্রেভ থেরাপি? মানসিক অবসাদ কাটাতে, ছাত্রছাত্রীরা কিছুক্ষণ কবরে শুয়ে থাকুক – এটাই হল তাদের নিদান।
১৯২৩ খ্রিস্টাব্দে প্রতিষ্ঠিত এই বিশ্ববিদ্যালয়ের নিজস্ব ওয়েবসাইটে এই বিষয়ে বিশদে জানানো হয়েছে। যেখানে বলা হয়েছে, বিশ্ববিদ্যালয় তরফে একটি কবরের মতো গর্তকে দেখানো হয়েছে 'শুদ্ধিকরণ কবর' (purification grave) হিসেবে। সেখানে ছাত্রদের শুয়ে থাকার পরামর্শ দেওয়া হচ্ছে। যেখানে শোওয়ার জন্য তাদের সঙ্গে শুধুমাত্র একটি মাদুর ও বালিশই বরাদ্দ করা হয়েছে। জীবনের সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ বিষয় সম্পর্কে চিন্তা করার কথা বলা হচ্ছে প্রত্যেককে। এখানে শুতে আসার সময় কোনো ব্যক্তিগত জিনিস তথা ফোন, আইপড বহন করতে নিষেধ করা হয়েছে।
একই সঙ্গে অভিনব ও অদ্ভুত এই থেরাপি নিয়ে বিতর্কও উঠেছে কোথাও কোথাও। আছে সফলতার উচ্ছাসও। সোশ্যাল দুনিয়ায় রীতিমতো সাড়া ফেলে দেওয়া এই পদ্ধতির সফলতা নিয়ে কী ভাবছেন আপনারা?