সরকারি এবং সরকারি অনুদানপ্রাপ্ত স্কুলগুলিতে ছাত্রদের ফি থেকে অতি সামান্যই। সেই ফি থেকেই স্কুল কর্তৃপক্ষকে মেটাতে হয় অতিথি শিক্ষকের বেতন, ইলেকট্রিক বিল-সহ অন্যান্য আনুষঙ্গিক খরচ। তবে ইলেকট্রিকের বিল মেটাতে একপ্রকার নাভিশ্বাস উঠার জোগাড় হয় স্কুলগুলোর। তার জন্যই প্রতিটি স্কুলে সৌরশক্তির কাঠামোগঠনের পরিকল্পনা নিয়েছিল সরকার। শুরু হল সেই প্রকল্পের বাস্তবায়ন।
গত পরশুদিন প্রকল্পের যাত্রা শুরু হল দক্ষিণ ২৪ পরগণার সারেঙ্গাবাদ উচ্চবিদ্যালয় থেকেই। রাজ্যের প্রথম সরকারি বিদ্যালয় হিসাবে সেখানে বসল ১০ কিলোভোল্ট ক্ষমতা সম্পন্ন সোলার প্যানেল। পশ্চিমবঙ্গ সরকারের অচিরাচরিত এবং পুনর্নবীকরণ শক্তির উৎস দপ্তর এই পুরো প্রকল্পের দায়িত্ব পালন করছে। সরকারি দপ্তরের হয়েই বেসরকারি সংস্থা এল এন্ড টি দায়িত্বে রয়েছে সোলার প্যানেলগুলি প্রতিস্থাপনের।
গত ১৯ আগস্ট এই সৌরবিদ্যুৎ প্রকল্পের উদ্বোধনে উপস্থিত ছিলেন স্কুলের প্রাক্তনী এবং রাজ্যের পঞ্চায়েত ও গ্রামোন্নয়ন মন্ত্রী সুব্রত মুখোপাধ্যায়। উপস্থিত ছিলেন অঞ্চলের বিধায়ক অশোক দেব-ও। সুব্রত মুখোপাধ্যায় জানান এই বছরের মধ্যেই রাজ্যের সাড়ে চারশো স্কুলে বসতে চলেছে সোলার প্যানেল। তালিকায় রয়েছে পঞ্চাশটি সরকারি কলেজও। পরবর্তীকালে সমস্ত স্কুলগুলিতেই বসবে সৌরশক্তি উৎপাদনের প্যানেল। বসবে বিভিন্ন সরকারি অফিসগুলিতেও, জানান সুব্রত মুখোপাধ্যায়।
নিখরচায় বিদ্যুতের সুবিধা হয়ে যাওয়ায় স্কুলের খরচ অনেকটাই কমবে বলে আশাবাদী কর্তৃপক্ষ। পাশাপাশিই নতুন প্রযুক্তির ব্যবহারে এই সোলার প্যানেলের রক্ষণাবেক্ষণেও কোনো খরচ হবে না। প্রতিস্থাপিত এই প্যানেলের উৎপাদন ক্ষমতা স্কুলের চাহিদার থেকে অনেকটাই বেশি। বাড়তি বিদ্যুৎ সিইএসসি-র গ্রিডে সরবরাহ করা হবে বলে জানিয়েছেন গ্রামোন্নয়ন মন্ত্রী...
আরও পড়ুন
বিশ্বের ৪০ শতাংশ স্কুলেই নেই হাত ধোয়ার পরিষেবা, সতর্ক করল ইউনিসেফ
Powered by Froala Editor
আরও পড়ুন
পুরুলিয়ায় শবরদের জন্য স্কুল গড়ে আন্তর্জাতিক স্বীকৃতি কলকাতা পুলিশের কনস্টেবলের