সারা বিশ্বেই সম্প্রতি কয়েক বছরে ঢেউ খেলেছে ভেগান আন্দোলনের সুর। আর তার প্রভাব এসে পড়েছে ভারতেও। তবে সাধারণ ভাষায় আমরা যাকে ‘নিরামিষাশী’ বলি তার থেকে অনেকটা আলাদা এই ‘ভেগান’-পন্থা। মাছ, মাংস, ডিমের সঙ্গে দুধ, ঘি, মধু ইত্যাদি যেকোনো প্রাণীজাত খাদ্যই বাদ ভেগানের তালিকা থেকে। এমনকি উলের বোনা পোশাক, মুক্তো বা চামড়ার তৈরি জিনিসও ব্যবহার করেন না ভেগানরা। সেই সূত্র ধরেই এবার দাবি তুলল ফেসবুকের এক বাঙালি ভেগান কমিউনিটি। ডাক দিল ক্রিকেট ধর্মঘটের। আইপিএল-সহ অন্য যে কোনো ফর্ম্যাটের ক্রিকেট দেখা বন্ধ করার আর্জি জানাল ওই ফেসবুক পেজ।
ক্রিকেটের বল তৈরি হয় কর্কের ওপরে সেলাই করা চামড়ার আস্তরণ দিয়ে। যা মূলত গবাধি পশুর ত্বক থেকেই প্রক্রিয়াজাত। আর সেই কারণেই এই ভেগান সংগঠন সরব হল প্রতিবাদে। জানানো হয়েছে ভারতের ৮০ শতাংশ পেশাদার ক্রিকেটেই ব্যবহৃত হয় এই ধরণের কর্কেট বল। এই বলের ব্যবহার বন্ধ করে যাতে অবিলম্বে ‘ভেগান বল’ চালু করা হয় ভারতীয় ক্রিকেটে, সেই আবেদনই রাখল সংগঠনটি। কিন্তু বলেরও আবার আমিষ-নিরামিষ?
প্রসঙ্গত, বছর খানেক আগেই ইংল্যান্ডের একটি ক্রিকেট ক্লাব ‘আর্লে’ প্রথমবারের জন্য পৃথিবীর সামনে এনেছিল এই বল। চামড়ার পরিবর্তে যেখানে ব্যবহৃত হয় রাবারের আস্তরণ, তবে এই বল রাবারের তৈরি হওয়ায় বল লাফায় সাধারণ কর্কেট বলের থেকে অনেক বেশি। ফলে প্রথম সারির ক্রিকেটের পক্ষে যে এই বল একেবারেই আদর্শ নয় তা বলাই বাহুল্য। আর্লে ক্লাবের চেয়ারম্যান গ্যারি শ্যাকল্যাডির কথা উল্লেখ করেই এই ফেসবুক পেজে এদেশের ক্রিকেট কর্মকর্তাদেরও তেমনই উদ্যোগ নেওয়ার আহ্বান জানানো হয়।
কেউ কেউ আবার ফুটবলের কথা উল্লেখ না করায় ‘পক্ষপাতিত্ব’ বলেও দাবি করেছেন সেখানে। প্রাণের প্রতি এই নির্মেদ ভালোবাসা থেকে গাছেরাই বা বঞ্চিত থাকে কেন? সেই প্রশ্নও তুলেছেন অনেকে। তবে এই তর্ক-বাকবিতণ্ডার মাঝেও এমনই অদ্ভুত দাবিতে তাজ্জব নেটিজেনরা। হাসির রোল ফেসবুকের ওই পাতাজুড়ে। মানুষের খাদ্যতালিকা বদলের আর্জির পর এবার ক্রিকেট বলেরও যে ‘ডায়েট পরিবর্তন’-এর প্রসঙ্গ উঠতে পারে, তা ভেবেই হেসে খুন অধিকাংশ দর্শক...
আরও পড়ুন
ছাঁটাইয়ের কোপ ক্রিকেট দুনিয়াতেও, কাজ হারালেন সুব্রত মুখোপাধ্যায় সহ ১১ জন কোচ
Powered by Froala Editor
আরও পড়ুন
ক্রিকেট, হকি, ফুটবল – কলকাতার খেপ খেলার দুনিয়ায় একমেবাদ্বিতীয়ম রিচার্ড হুপার