ধরুন, হাঁটছেন নির্জন কোনো পথ ধরে। হঠাৎ পায়ে ঠেকল ছোট্টো একটা পৃথিবী। কেমন হবে ব্যাপারটা? ভেবে আশ্চর্য লাগলেও এটাই সত্যি। তবে এই পৃথিবী কাচের তৈরি। গোটা পৃথিবী জুড়ে ছড়িয়ে ছিটিয়ে রয়েছে এরকম বহু কাচের পৃথিবী। আর সবটাই সম্ভব হয়েছে ম্যাসাচুসেটসের জশ সিম্পসনের উদ্যোগে।
কাচকে আগুনের সাহায্যে গলিয়ে, এক আশ্চর্য জিনিশ বানিয়েছেন জশ। যা ঠিক পৃথিবীর মতো দেখতে। এরপর তিনি সেগুলি লুকিয়ে রেখেছেন এ-গ্রহেরই আনাচে কানাচে৷ সব মিলিয়ে মোট ৩০০০টি এমন কাচের গ্রহের হদিশ পাওয়া যাবে গোটা বিশ্বে। গত পঞ্চাশ বছর ধরে তিনি এই অভিনব কর্মের সঙ্গে যুক্ত। ঘুরতে ঘুরতে তাই আপনারও চোখে পড়ে যেতে পারে এমন সুন্দর শিল্পকর্ম।
আবিষ্কারের নেশা থাকলে এমন জিনিস খুঁজে পেলে যে কেউই খুশি হবেন। সারা বিশ্বেই জশ তাঁর পৃথিবীকে লুকিয়ে রেখেছে বিভিন্ন জায়গায়। বাদ যায়নি তাজমহলও। এমনকি সমুদ্রের নীচে, ঝরনার পাশেও তিনি এই রঙবেরঙের সুদৃশ্য কাচের পৃথিবী লুকিয়ে রেখেছেন। জশের কাছে এ-যেন লুকোচুরি খেলার মতো, খুঁজে পেলে বর্তে যাবে যে কেউ।
কেন এমন কাজ করলেন যশ? উত্তর হিসেবে উঠে আসবে এক নির্মল আনন্দের কথাই। অচেনা কোনো মানুষ ছোট্ট এই কাচের পৃথিবী খুঁজে পেলে যে ঝলমল করে উঠবেন খুশিতে, সেই খুশিটুকুই জশের এই ‘পাগলামি’র জোর। আর কিচ্ছুটি নয়।
জশের ওয়েবসাইটে ঢুকে আপনিও এই লুকিয়ে রাখার জায়গা সুপারিশ করতে পারেন তাঁকে। ব্যাস, তাহলে আর কী! জশের এই ছোট্ট পৃথিবীকে হাতের মুঠোয় ধরতে বেরিয়ে পড়ুন তবে! কে বলতে পারে, আপনিও হয়তো দেখলেন কোনোদিন, সুদৃশ্য এক কাচের পৃথিবী পড়ে আছে পাতার আড়ালে!