দক্ষিণ ভারতের প্রাচীন সমাধিক্ষেত্র থেকে উদ্ধার শিশুর কঙ্কাল

ভারতে সভ্যতার ইতিহাস অত্যন্ত প্রাচীন। সিন্ধু সভ্যতা, বৈদিক সভ্যতার পাশাপাশি তৈরি হয়েছিল বেশ কিছু ছোটো ছোটো নগর সভ্যতাও। তার অনেকটাই আজও মাটির নিচে রয়েছে। ঠিক যেমন তামিলনাড়ুর কোন্ঠাগাই। ঐতিহাসিক ও প্রত্নতাত্ত্বিকরা বলেন, ওই অঞ্চলে একটা সময় একটি সভ্যতা তৈরি হয়েছিল। আজ সেটা অবলুপ্ত। মাটির নিচেই তাঁদের বর্তমান ‘আবাস’। সেখান থেকেই সম্প্রতি পাওয়া গেল একটা আস্ত নরকঙ্কাল!

কিলাডি থেকে মাত্র চার কিমি দূরের কোন্ঠাগাই দীর্ঘদিন ধরেই ঐতিহাসিকদের নজরে। একটা সময় কিলাডি সংলগ্ন অঞ্চলে যে সভ্যতা তৈরি হয়েছিল, এই অঞ্চলটি তার সঙ্গেই যুক্ত বলে ধারণা। সেই ধারণা যে অমূলক নয়, তারই প্রমাণ পাওয়া গেল। ঐতিহাসিক ও প্রত্নতাত্ত্বিকদের মতে, কোন্ঠাগাই অঞ্চলটি ছিল সম্ভবত সমাধিস্থল। তাই এখনও পর্যন্ত এখানে যেটুকু খনন হয়েছে, সেখানে মৃতদেহই পাওয়া গেছে। কখনও একই কবরে যুগলের কঙ্কাল, কখনও একজনেরই— এভাবেই নানা বৈচিত্র্যে তৈরি হয়েছে এটি। সেখানেই যে নরকঙ্কালটির কথা বলছেন প্রত্নতাত্ত্বিকরা, সেটির উচ্চতা প্রায় ৭৫ সেমি। মনে করা হচ্ছে, এটি কোনো শিশুর মৃতদেহ। অন্তত দেড় হাজার খ্রিস্টপূর্বাব্দ পুরনো এই স্থানটি। তবে গবেষণা ও খননকাজ এখনও বিস্তর বাকি। আপাতত প্রতিটা দেহাবশেষেরই নমুনা পরীক্ষার জন্য পাঠানো হয়েছে। যাতে এই সভ্যতা সম্পর্কেও কিছু জানা যায়। 

ঐতিহাসিকরা আরও একটি বিশেষ দিকের কথা বলেছেন। খননকাজের সময় কঙ্কাল ছাড়াও পাওয়া গেছে বেশ কিছু পাত্র; যার ভেতর ছিল ছাই। একই সমাধিক্ষেত্রের মধ্যে এমন ভিন্ন চিত্র কেন? ঐতিহাসিকদের ধারণা, এই ব্যক্তিরা হয়ত অন্য কোথাও মারা গিয়েছিলেন। সেখানেই দাহ করে প্রথামাফিক তাঁর অবশিষ্টাংশ নিয়ে আসা হয় এখানে। আর কী কী বিশেষ বৈশিষ্ট্য বের হয়, তারই অপেক্ষায় সবাই।    

Powered by Froala Editor

আরও পড়ুন
কবর থেকে কঙ্কাল তুলে পরানো হয় নতুন পোশাক, নেওয়া হয় ফ্যামিলি ফটোগ্রাফও!