নদীতে প্রতিমা বিসর্জনের সময় তো শুধুই দেবীর মূর্তি নয়, সঙ্গে ফেলা হয় বহু ফুল পাতা। নদীকে দূষণের হাত থেকে বাঁচাতে সেইসব ফুল পাতা তুলে নিয়ে শহরের বাইরে জম করা হয় প্রতি বছরই। তবে এবার অন্যরকম পরিকল্পনা নিল শিলিগুড়ি পৌর সংস্থা। মহানন্দার ঘাট থেকে সমস্ত ফুল এবং বেলপাতা সংগ্রহ করে সেখান থেকেই তৈরি হবে জৈব সার। সম্ভবত রাজ্যে প্রথম কোনো পুরসভা এমন উদ্যোগ নিল।
শিলিগুড়ি শহরের যাবতীয় দুর্গাপুজোর প্রতিমা বিসর্জন করা হয় মহানন্দার উপর লালমোহন মৌলিক নিরঞ্জন ঘাট নৌকোঘাটে। বিসর্জনের ভিড় সামাল দেওয়ার জন্য এবছর দশমী থেকে লক্ষ্মীপুজোর দিন পর্যন্ত চলবে বিসর্জন। ইতিমধ্যে ঘাট থেকে ফুল ও বেলপাতা সরিয়ে নেওয়ার কাজও শুরু হয়ে গিয়েছে। শিলিগুড়ির বিধায়ক তথা পৌর সংস্থার চেয়ারপার্সন অশোক ভট্টাচার্য জানালেন, “ঘাট পরিষ্কার করতে গিয়েই এক সাফাই কর্মীর মাথায় আসে এই পরিকল্পনা। আমাদের এসে বলতেই আমরা লুফে নিই। ইতিমধ্যে বাইপাস লাগোয়া ডাম্পিং গ্রাউন্ডে সার তৈরির কাজও শুরু হয়ে গিয়েছে।”
আপাতত পরীক্ষামূলকভাবে এই সার প্রয়োগ করা হবে উত্তরবঙ্গের বিভিন্ন চা-বাগান এবং সরকারি উদ্যান প্রকল্পে। এতে সাফল্য মিললে পরে বাণিজ্যিকভাবেও রপ্তানি করা হবে এই সার। “এর ফলে পুরসভার আয়ও বাড়বে, আবার পরিবেশও রক্ষা পাবে।” বললেন অশোক ভট্টাচার্য। এছাড়া ভবিষ্যতে বাড়ির আবর্জনা থেকে সার প্রস্তুত করা যায় কিনা, সেবিষয়েও ভাবনাচিন্তা চলছে বলে জানিয়েছেন তিনি। আর শিলিগুড়ি পৌরসংস্থার দেখানো পথে অন্যান্য পুরসভাগুলি এগিয়ে আসবে বলে আশায় বুক বাঁধছেন পরিবেশপ্রেমী থেকে সাধারণ মানুষ প্রত্যেকেই।
Powered by Froala Editor