করোনার আতঙ্কে ত্রস্ত গোটা পৃথিবী। ভারতে আক্রান্তের সংখ্যা পেরিয়েছে ষাট হাজার। বাংলায় প্রায় সতেরোশো ছুঁই ছুঁই। তবে চিকিৎসকরা অক্লান্তভাবে জারি রেখেছেন এই যুদ্ধ। এই মারণ ভাইরাসও থমকে যাচ্ছে তাঁদের সামনে। সম্প্রতি ৬৮ বছরের এক প্রৌঢ়কে তাঁর সুস্থ জীবন ফিরিয়ে দিলেন কলকাতার অ্যাপোলো হাসপাতালের চিকিৎসকরা। হাসপাতাল কর্তৃপক্ষকে ধন্যবাদ জানিয়েছেন তিনি।
লকডাউনের মধ্যেই জরুরি চিকিৎসার কারণে অনেককেই পাড়ি দিতে হচ্ছে ভিন রাজ্যে। তেমনই ওই ব্যক্তি গত ২০শে এপ্রিল কলকাতায় আসেন। বাড়ি অসমের শিলচরে। ছিল ক্যানসার-সহ একাধিক শারীরিক সমস্যা। মূলত মুখের একটি টিউমারের অপরেশন করাতেই এসেছিলেন কলকাতায়। সম্প্রতি বাইপাস সার্জারি হওয়ায় রক্তচাপও ছিল স্বাভাবিকের থেকে বেশ খানিকটা বেশি। তবে ওপিডিতে চিকিৎসা করার সময়ই সামান্য জ্বর দেখে সন্দেহ জেগেছিল ডাক্তারের। দেখা যাচ্ছিল বেশ কিছু করোনার উপসর্গও। সঙ্গে সঙ্গেই হাসপাতালে ভর্তি করা হয় তাঁকে। নমুনা পরীক্ষা করা হলে পজিটিভ আসে করোনা ভাইরাসের রিপোর্ট। তারপর আইসোলেশন ওয়ার্ডেই চিকিৎসা চলেছিল তাঁর।
গত দু’সপ্তাহ ধরে টানা চিকিৎসার পর সম্প্রতি করোনাকে হার মানালেন ওই ব্যক্তি। ৪ এবং ৫ই মে পরপর দুটি ভাইরাসের টেস্ট নেগেটিভ আসার পর হাসপাতাল থেকে ছেড়ে দেওয়া হয় তাঁকে। আপাতত বাড়িতেই আরো ১৪ দিনের কোয়ারেন্টাইনে থাকার নির্দেশ দিয়েছে হাসপাতাল কর্তৃপক্ষ। তারপরই শুরু হবে ক্যানসারের চিকিৎসা।
অ্যাপোলো হাসপাতালের ভাইস প্রেসিডেন্ট জয় বসু জানান, ক্যানসার প্রতিরোধ ক্ষমতাকে অনেকটাই ক্ষতিগ্রস্ত করে। দুর্বল করে দেয় মানুষকে। যার জন্য সহজেই সংক্রমিত হতে পারেন ক্যানসারে আক্রান্ত রোগী। সেই ঘটনাই হয়েছিল এক্ষেত্রে। তিনি জানান, ডাক্তারদের অপরিসীম প্রয়াসে গর্বিত। অন্যদিকে আনন্দিত ওই ব্যক্তির পরিজনরাও। এই ঘটনা সত্যিই ‘মিরাকল’।