বাঁশের কেল্লা, বাঁশের তরকারির পর এবার বাঁশের বোতল! এই ব্যাপারটাই হতে চলেছে এই দেশে। সম্প্রতি সিকিমে চালু করা হল বাঁশ দিয়ে তৈরি এই বিশেষ ‘জৈব’ বোতল। প্লাস্টিকের ব্যবহার যাতে আরও কমে, সেজন্যই এই উদ্যোগ নেওয়া হয়েছে।
আরও পড়ুন
প্লাস্টিক দূষণে মৃত্যু ৫ লক্ষেরও বেশি কাঁকড়ার
পর্যটকদের কাছে সিকিম অত্যন্ত প্রিয় একটি জায়গা। চারিদিকে পর্বতঘেরা অঞ্চল, গাছপালা, মনোরম প্রকৃতি— আমাদের সবার কাছেই এই রাজ্যের এক অন্য আবেদন থাকে। কিন্তু সৌন্দর্য উপভোগ করতে গিয়ে সবসময়ই সেই জায়গাকে দূষিত করে রাখি। সৌজন্যে, প্লাস্টিক। পর্যটকরা যাওয়ার পর, বিপুল পরিমাণে প্লাস্টিক উদ্ধার করা হয় সিকিমের লাচেন থেকে। এই প্রবণতা বন্ধ করার জন্যই এবার উদ্যোগ নিল প্রশাসন। লাচেনে সম্পূর্ণভাবে বন্ধ করে দেওয়া হল প্লাস্টিকের বোতল। যাতে কেউ না আনে, তার জন্য প্রতিটা গাড়িতে চেকিংও শুরু হয়েছে। এর বদলে চালু করা হল এই বাঁশের বোতল। শক্ত, মোটা এই বোতল থেকে জল গড়িয়ে পড়ারও ভয় নেই, ফেলে দিলে প্রকৃতিরও কোনো ক্ষতি হবে না। সেই সঙ্গে ভেতরের জল থাকবে পরিশ্রুত। আস্তে আস্তে গোটা সিকিমেই এই বোতল চালু করা হবে বলে জানিয়েছে সরকার।
আরও পড়ুন
প্লাস্টিকের বদলে বাঁশের তৈরি স্ট্র, ব্যাতিক্রমী উদ্যোগ আসামের গ্রামবাসীদের
প্লাস্টিক নিয়ে গোটা বিশ্বেরই সমস্যা অব্যাহত। শুধু পাহাড় নয়, শহর, নিকাশি, নদী সমুদ্র সব জায়গা এই দূষণের কবলে পড়েছে। এমনকি প্লাস্টিকের হাত থেকে রেহাই পায়নি মাউন্ট এভারেস্টও। সেখানে এর হাত থেকে বাঁচার জন্য আমাদের সবার তরফ থেকেই প্রচেষ্টা শুরু হওয়া দরকার বলে মনে করেন পরিবেশবিদরা। অবশ্যই প্রশাসনেরও সেখানে একটা ভূমিকা থাকে। সিকিম ১৯৯৮ সাল থেকে প্লাস্টিক বন্ধের জন্য লড়াই করে যাচ্ছে। দিনের শেষে, প্রকৃতি-পরিবেশ যাতে সুস্থ থাকে, সেটাই তাদের লক্ষ্য। সেই জন্যই এই ‘বাঁশের বোতল’-এর ব্যবহার শুরু করল তারা। এখানেও মাটির তৈরি বোতল ব্যবহার হয়। এই জাতীয় জিনিস বাজারে যাতে আরও বাড়ে, সাধারণ মানুষের কাছে পৌঁছে যায়, সেটাই পর্যবেক্ষণ করতে হবে।