১৯৪৭ সালে দুভাগ হয়ে গিয়েছিল ভারতবর্ষ। ভাগ হওয়ার পর, তখন এক দেশে সর্ব ধর্মের সহাবস্থান, অন্য দেশটি ঘোষিত হল ইসলামিক দেশ হিসেবে। ভারত আর পাকিস্তান – এই দুটি দুটি দেশের সম্পর্কে এসেছে নানা উত্থান ও পতন। এতদিন ভারতের শিখদের পক্ষে পাকিস্তানের কারতারপুরের গুরুদ্বারা দরবার সাহিবের মন্দিরে প্রবেশ নিষিদ্ধ ছিল। ভারতের স্বাধীনতার ৭২ বছরে, এই প্রথম সে দরজা উন্মুক্ত হল ভারতীয় শিখদের জন্য। কারতারপুর পিস করিডোরের মাধ্যমে ৫০০০ জন তীর্থযাত্রীর অবাধ প্রবেশের অনুমতি দেওয়া হল।
পাঁচ কিলোমিটার দীর্ঘ এই করিডোর। ভারতের গুরদাসপুরের দেরা বাবা নানক সাহিব থেকে পাকিস্তানের গুরুদ্বারা দরবার সাহিব মন্দিরের সংযোগ স্থাপন করেছে এটি।
গুরুদ্বারা দরবার সাহিব শিখদের কাছে অত্যন্ত পবিত্র একটি ধর্মস্থান। কথিত আছে, শিখ ধর্মের প্রবর্তক গুরু নানক এই স্থানেই জীবনের শেষ কয়েকটা দিন শান্তিতে কাটিয়েছিলেন। এতদিন দূর থেকে বাইনোকুলার দিয়ে মন্দির দর্শন করেই প্রার্থনা সারতেন ভারতের শিখরা। হয়ত আগামী দিনে আরও এরকম পিস করিডোরের মধ্যে দিয়ে পাকিস্তানের শিখরাও ভারতের বিভিন্ন পবিত্র মন্দির দেখতে আসতে পারবে।
ধর্মের ভিত্তিতে দুই দেশের মধ্যে সম্পর্কের অবনতি বহুদিন থেকেই। অথচ ঈশ্বর এক এবং অভিন্ন। তাই কাঁটাতারের পেরিয়ে মন্দির-মসজিদে ঈশ্বরবন্দনা হয়ে উঠুক দুই দেশের মিলনক্ষেত্র।