আগামী ভোটের আশায় আমেরিকার প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প যখন ইলেকশনের কথা ভাবছেন, তাঁর ইচ্ছার খানিক বিপরীতে গিয়েই এবার সিদ্ধান্ত নিল রাজ্যগুলি। করোনা আবহের পরিস্থিতি ঠেকাতে আবার রাজ্যভিত্তিক লকডাউনের পথে হাঁটল আমেরিকা। তবে এই খারাপ আবস্থাকেও মানতে নারাজ যুক্তরাষ্ট্র প্রেসিডেন্ট।
হোয়াটহাউসে ট্রাম্পের ঘোষণা করেন সম্প্রতি, লক্ষ লক্ষ মানুষের জীবন বাঁচাতে সক্ষম হয়েছে আমেরিকা। রাষ্ট্রপ্রধানের এই বক্তব্য ঘিরেই এখন বিতর্ক যুক্তরাষ্ট্রজুড়ে। আমেরিকায় আক্রান্তের সংখ্যা ছুঁয়েছে ৩৪ লক্ষ। মারা গেছেন প্রায় ১ লক্ষ ৪০ হাজার। গত কয়েকদিনেই দৈনিক আক্রান্তের সংখ্যা ছাড়িয়েছে ৬০ হাজারের সীমা। তার পরেও ট্রাম্পের এই দাবিতে রীতিমত চাঞ্চল্য ছড়িয়েছে বিভিন্ন মহলে।
টেক্সাসে হাস্টনের মেয়র এই পরিস্থিতিতে দু’ সপ্তাহের লকডাউন ঘোষণা করলেন। ক্যালিফোর্নিয়ায় বন্ধ হল সমস্ত রেস্টুর্যা ন্ট, চিড়িয়াখানা, থিয়েটার ও মিউজিয়াম। একই পথে হাঁটল লস অ্যাঞ্জেলিস, ইউটাহ, অ্যারিজোনা এবং সান দিয়েগো। জানাল বন্ধ থাকবে স্কুল-কলেজগুলিও। পাশাপাশি ফ্লোরিডায় ১০ জনের বেশি জনসমাবেশ নিষিদ্ধ করল ডেমোক্রেটিক গভার্নমেন্ট। বাধ্যতামূলক করল মাস্ক পরা।
এর আগেই আনলকের সিদ্ধান্ত নিয়ে ট্রাম্প দাবি করেছিলেন, বেকারত্ব অনেকটাই কমে এসেছে। ভাইরাসের আবহেও কাজ মিলেছে অনেকের। সেই মন্তব্যই কার্যত আষাঢ়ে গল্পে পরিণত হতে চলেছে এবার। আশঙ্কা উঠছে পাকাপাকিভাবে কাজ হারাবেন অনেকেই। কিন্তু অর্থনীতির বেহাল অবস্থা ঠেকাতে, ভাইরাসের সংক্রমণকে বাড়তি সুযোগ দিতে চাইছে না যুক্তরাষ্ট্রের অঙ্গরাজ্যগুলির প্রশাসন।
স্কুল-কলেজগুলি বন্ধের বিরুদ্ধে স্পষ্টত ক্ষুব্ধ প্রেসিডেন্ট। ঘটনার প্রেক্ষিতেই তিনি টেনে আনেন রাজনৈতিক দৃষ্টিকোণ। বিরোধীদের আক্রমণ করেন, স্কুল বন্ধ রেখেও লাভ হবে না আগামী ইলেকশনে। অভিযোগ রাখেন, স্কুল বন্ধ করে দেশের ক্ষতি করার চেষ্টা করছেন ডেমোক্র্যাটরা। ‘স্কুলস শুড বি ওপেনড’ হুমকিও শোনা যায় তাঁর মুখে। পাশাপাশি তাঁর দাবি ভোটের আগে দেশের অর্থনীতিকে নিম্নমুখী করার চেষ্টায় বিরোধীপক্ষ। কিন্তু সংক্রমণের এই হারের সামনে দাঁড়িয়েও আনলক কি ত্বরান্বিত করবে না মহামারীকে? এই প্রশ্নের উত্তর এখনো অধরাই তাঁর কাছে...
Powered by Froala Editor
আরও পড়ুন
অনলাইনে পড়তে হলে ছাড়তে হবে দেশ, ট্রাম্প সরকারের সিদ্ধান্তে বিতর্ক বিশ্ব জুড়ে