ইংল্যান্ড বা আমেরিকা নয়, অস্ট্রেলিয়াতেই জন্ম নিয়েছিল ‘সেলফি’

ঘরোয়া অনুষ্ঠান হোক, বা কোথাও ঘুরতে যাওয়া— সবসময় কিছু করা হোক না হোক, সেলফি তোলা হবেই। আমাদের অনেকের জীবনের সঙ্গেই ওতপ্রোতভাবে জড়িয়ে আছে শব্দটি। সময় অসময় ফোনের ফ্রন্ট ক্যামেরার দিকে তাকিয়ে ক্লিক করলেই কেল্লাফতে! কিন্তু সেলফি তুলতে তুলতে কখনও কি মনে হয়েছে শব্দটিকে নিয়ে? কোথা থেকে এল এমন শব্দ, যা আজ গোটা পৃথিবীতে বহুল পরিমাণে ব্যবহৃত হয়?

এর উত্তর খুঁজতে গেলে একটু সাগর পেরোতে হবে আমাদের। চলে যেতে হবে অস্ট্রেলিয়ায়। সেখানে সাধারণত লোকে ইংরেজিতেই কথা বলেন। ওখানকার প্রাচীন অধিবাসীদের নিজস্ব ভাষা আছে অবশ্য। তবে এই গল্প সেসব নিয়ে নয়। অস্ট্রেলিয়ার নাগরিকদের সঙ্গে কথা বললে কিছু কিছু শব্দ আমাদের মনোযোগ আকর্ষণ করতে পারে। তাঁরা কথা বলছেন ইংরেজিতেই, অথচ বেশ কিছু শব্দ এত অচেনা লাগছে কেন? এই ‘কেন’র সঙ্গেই জুড়ে আছে সেখানকার এক অদ্ভুত নিয়ম। বড়ো বড়ো শব্দকে ছোটো করে নিজেদের মতো করে একটা রূপ দিয়েছে অস্ট্রেলিয়া। সেটাই প্রচলিত হয়ে গেছে আজ। যেমন বার্বিকিউকে ‘বার্বি’, দমকমকর্মীকে ‘ফায়ারি’। অর্থাৎ শব্দকে ছোটো করে শেষে একটা ‘ই’ যোগ করে দেওয়া। এইভাবেই তৈরি হল ভাষার একটা নিজস্ব ধরণ। বলা ভালো একপ্রকার আঞ্চলিক রূপ। অস্ট্রেলিয়ার নিজস্ব ঐতিহ্যের সঙ্গে যা জুড়ে গেল প্রবলভাবে…

সেই ভাষার অংশ হিসেবেই তৈরি হয়েছিল ‘সেলফি’ শব্দটি। ২০০২ সালে প্রথমবার এই শব্দটি ব্যবহার করা হয়। নিজের ছবি নিজেই তুলছে— এই ব্যাপারটাকে মাথায় রেখেই নাম হল ‘সেলফি’। ২০০২ সাল থেকে ব্যবহৃত হলেও গত দশকের শুরুর সময় থেকে জনপ্রিয় হয়ে যায় সেলফি। এরপর অক্সফোর্ড ডিকশনারিতেও জায়গা পেয়ে যায় শব্দটি। ২০১৩ সালে ইন্টারন্যাশনাল ওয়ার্ড অফ দ্য ইয়ারের তকমা পায় এটি। কিন্তু তার শুরুটা যে এমন অদ্ভুত, যার সঙ্গে জুড়ে আছে ইংরেজি ভাষারই অস্ট্রেলীয় ধাঁচ, কে জানত! 

Powered by Froala Editor

আরও পড়ুন
১১ মিনিটের ‘সমস্যা’য় জন্ম ২৯ ফেব্রুয়ারির, মেয়েরা ছেলেদের প্রেমপ্রস্তাব দিতেন এই দিনে