ঢাকার হজরত শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দর। আর সেখানেই চলছি তৃতীয় টার্মিলান নির্মাণের কাজ। মূল বিমানবন্দরের লাগোয়া বাইরের সেই অংশেই বুধবার খনন কার্যের সময় বেরিয়ে এল দৈত্যাকার একটি বোমা। ভূপৃষ্ঠ থেকে তিন মিটার গভীরে লুকিয়ে ছিল প্রাণঘাতী মারণাস্ত্রটি। চোঙাকৃতি সেই বোমার ওজন আনুমানিক ২৫০ কিলোগ্রাম।
বোমাটির সন্ধান পেতেই নির্মাণকাজ স্থগিদ রেখে খবর দেওয়া হয় বিমানবন্দর কর্তৃপক্ষের কাছে। তৎক্ষণাৎ ‘বঙ্গবন্ধু এয়ারবেস’ থেকে পাঠানো হয় একটি বিশেষজ্ঞের দল। বাংলাদেশ বিমানবাহিনীর বোম্ব ডিসপোসাল ইউনিট জরুরি অবস্থাতেই শুরু করে নিষ্ক্রিয় করার প্রক্রিয়া। তবে বোমা উদ্ধারের খবর প্রকাশ্যে আসতেই চাঞ্চল্য ছড়ায় মূল বিমানবন্দরে।
সন্ধের আগেই বোমাটি নিষ্ক্রিয় করে টাঙ্গাইলের রসুলপুর শুটিং রেঞ্জে পাঠানো হয় সেটিকে। বিশেষজ্ঞদের ধারণা বোমাটি মুক্তিযুদ্ধের সময়ের। আবার দ্বিতীয় বিশ্বযুদ্ধেও তা নিক্ষেপিত হওয়ার সম্ভাবনা রয়েই যাচ্চেচ্ছে। তবে নিক্ষেপ করা হলেও বোমাটির বিস্ফোরণ হয়নি কোনো কারণে। পরবর্তীকালে মাটিতে চাপা পড়ে যায় সেটি। বাংলাদেশ সেনাবিভাগের আইএসপিআর জানান ‘জিপি’ শ্রেণীর বোমাটির নিষ্পত্তি করার আগে বেশ কিছু পরীক্ষা করা হবে। তারপরেই নিশ্চিতভাবে বলা সম্ভব, বোমাটির সময়কালের বিষয়ে।
উল্লেখ্য অখণ্ড ভারতের উত্তর-পূর্ব অংশে ভয়াবহ ছাপ রেখে গিয়েছিল দ্বিতীয় বিশ্বযুদ্ধ। মিজোরাম, অরুণাচল প্রদেশ, মেঘালয়েও সম্প্রতি দ্বিতীয় বিশ্বযুদ্ধের বেশ কিছু আগ্নেয়াস্ত্র এবং বোমা উদ্ধার করেছিল ভারতীয় সেনাবাহিনী। বাংলাদেশে প্রাপ্ত বোমাটির সঙ্গেও জড়িয়ে রয়েছে একই রকম ইতিহাস, সেই সম্ভাবনা উড়িয়ে দেওয়া যাচ্ছে না কোনোভাবেই...
Powered by Froala Editor