আবার বন্যায় ভাসল অসম, ক্ষতিগ্রস্ত ৩০ হাজার মানুষ, মৃত ১১

গত মাসেই ভয়াবহ চেহারা নিয়েছিল ব্রহ্মপুত্র। ভাসিয়েছিল উপকূল সংলগ্ন এলাকা। এমনকি ২ সেন্টিমিটার প্রতি ঘণ্টায় বাড়ছিল তাঁর জলের গভীরতা। ঠিক একমাসের মধ্যেই আবার রুদ্র রূপ ধারণ করল ব্রহ্মপুত্র এবং ব্রহ্মপুত্রের অন্যান্য শাখানদীগুলি। আবারো বন্যার কবলে অসমের প্রায় ৩০ হাজার মানুষ।

গত কয়েকদিন ধরেই ভারী বৃষ্টিপাতের কারণে জলতল বাড়ছে ব্রহ্মপুত্রের। প্রবাহ ছিল বিপদসীমার ওপরেই। পাশাপাশি বেড়েছিল ভিয়া ভরালি, দিখোই ও ধানসিঁড়ি নদীর জলস্তরও। যার ফলে ভেসেছে নিয়ামাটিঘাট, শিবসাগর, ডিব্রুগড়, সোনিতপুর, ধামাজীসহ বেশ কয়েকটি জেলা। শোচনীয় অবস্থা শিবসাগর জেলায়।

তবে জরুরি তৎপরতায় শুরু হয়েছে উদ্ধারকার্য। রণক্ষেত্রে নেমেছেন বিপর্যয় মোকাবিলা বাহিনী। খোলা হয়েছে ত্রাণ শিবির। প্রায় ৩০০ জন মানুষকে উদ্ধার করা গেলেও, ইতিমধ্যেই ১১ জনের প্রাণ কেড়েছে ভয়াবহ এই বন্যা। সবকটি জেলা মিলিয়ে বিপন্ন প্রায় ৩০ হাজার মানুষ। অধিকাংশেরই ভেসে গেছে ঘরবাড়ি, চাষের জমি। নষ্ট হয়েছে ৩৬ হেক্টর এলাকার জমির ফসল। ক্ষতিগ্রস্ত সাড়ে ১১ হাজার গবাদি পশুও।

গত মাস থেকেই একের পর এক বিপর্যয়ের মুখোমুখি হয়েই চলেছে অসম। আমফানের সময় হরপা বান, উত্তর-পূর্ব ভারতে বৃষ্টির ফলে বন্যা। সর্বোপরি করোনা ভাইরাসের সংক্রমণ। এই মুহুর্তে দ্বিতীয়বার বন্যার ধাক্কা বেশ কঠিন করে তুলেছে অসমের পরিস্থিতিকে। লাটে উঠেছে সোশ্যাল ডিসট্যান্সিং-ও। এই প্রতিকূল অবস্থা কাটিয়ে ওঠারই আপ্রাণ চেষ্টা করছে অসম...

আরও পড়ুন
আসামে বন্যায় আশ্রয়হীন ৩ লক্ষ মানুষ, মৃত এক; ভারী বৃষ্টির পূর্বাভাসে বাড়ছে দুশ্চিন্তা

Powered by Froala Editor

আরও পড়ুন
১৫৮৫-র বন্যা থেকে ১৮৯৭-এর ভূমিকম্প – দুর্যোগ কাটিয়ে বারবার ঘুরে দাঁড়িয়েছে সুন্দরবন