আগামী ৩০ বছরের মধ্যেই উচ্চতা বাড়বে সমুদ্রপৃষ্ঠের। আর তাতেই ক্ষতিগ্রস্ত হতে পারে ইংল্যান্ডের প্রায় ২০০,০০০টি বাড়ি। বিশেষত উত্তর সমারসেট, সেজমুর, সোয়েল ও ওয়ার অঞ্চল দাঁড়িয়ে রয়েছে খাদের কিনারায়। এই বাড়িগুলিকে রক্ষা করা যতটা খরচসাপেক্ষ হয়ে পড়বে, সেই খরচের ভার বহন করার ক্ষমতা নেই ইংল্যান্ডের (England)।
এনভায়রনমেন্ট এজেন্সির সচিব স্যার জেমস বেভানের মতে, ‘এটি কঠোরতম বাস্তব।’ বিলিয়ন বিলিয়ন পাউন্ড আক্ষরিক অর্থেই জলে যাবে, জলবায়ু সংকটের এই ভয়ানক ফলাফলকে ঠেকাতে। ২০৫০ সালের সমুদ্রপৃষ্ঠের উচ্চতা বাড়বে ৩৫ সেন্টিমিটার। এমনটাই জানিয়েছেন ইস্ট আ্যংলিয়া বিশ্ববিদ্যালয়ের গবেষকরা।
কিছুদিন আগে একটি কনফারেন্সে স্যার জেমস উপকূলের বাসিন্দাদের স্থানান্তরের উপদেশ দিয়েছেন। হাজার বাঁধ বা দেয়ালেও এই প্লাবন আটকানো কঠিন। এর কারণ সমুদ্র ভাঙন ধরাবে উপকূলের ভূপৃষ্ঠে। ফলে জল সরে গেলেও পরবর্তীকালে সেখানে ইমারত গড়া অসম্ভব হয়ে পড়বে।
অক্সফোর্ড বিশ্ববিদ্যালয়ের ক্লাইমেট ও এনভায়রনমেন্টাল রিস্ক বিভাগের অধ্যাপক জিম হলের মতে, ‘উপকূলবাসীদের সঙ্গে সমস্যাটি নিয়ে খোলাখুলি আলোচনা করা উচিত। উপকূলকে বাঁচাতে দেশব্যাপী উদ্যোগ এখন সময়ের দাবি।’
তবে এর আগেও ব্রিটিশ সরকারকে সাবধানবাণী শুনিয়েছিলেন বিজ্ঞানী ও গবেষকরা। কিন্তু তাতে খুব একটা কর্ণপাত করা হয়নি বলেই তাঁদের অভিযোগ। অগত্যা আশু বিপদের দিকে তাকিয়ে থাকা ছাড়া আর কী করণীয়, তা নিয়েই চিন্তিত ইংল্যান্ডবাসী।
Powered by Froala Editor