ছোটো থেকেই গড়ে তোলা উচিৎ সচেতনতা। নইলে যে সামাজিক ব্যাধি আমাদের বেঁধে রেখেছে, তার থেকে মুক্তি নেই। তবে আজও বৈষম্য এবং বিদ্বেষের বীজ পুষে রাখেন অনেকেই। ঠিক 'পুরুষ' নয় বলে স্কুলের বন্ধুদের কাছে লাঞ্ছনার শিকার হতে হয় অনেক ছেলেকেই। মেয়ে হয়ে নিজের বান্ধবীকে ভালোবাসার কথাও লুকিয়ে রাখতে হয় অনেককে। তবে এই পরিস্থিতিরও বদল প্রয়োজন। আর সেটা অসম্ভবও নয়। স্কটল্যান্ডের সাম্প্রতিক শিক্ষানীতি এই বক্তব্যের পক্ষেই এক জ্বলন্ত উদাহরণ।
স্কটল্যান্ড পৃথিবীর প্রথম দেশ, যেখানে স্কুলস্তরে পাঠ্যপুস্তকে স্থান পেতে চলেছে বিকল্প যৌনতার গল্প। সমাজের ধরাবাঁধা ছকের নিয়মটাকে একধাক্কায় ওলোটপালোট করে দিতে চায় স্কটিশরা। আর কে না জানে, চ্যারিটি বিগিনস অ্যাট হোম। আমাদের আগামী প্রজন্মকে যদি সচেতন করে তুলতে পারি, তাহলেই অনেকটা সমস্যার সমাধান হয়ে যায়।
২০০৫ সালে সমকামকে আইনি স্বীকৃতি দিয়েছিল স্কট সরকার। ২০০৯ থেকে সমকামী বিবাহকেও স্বীকৃতি দেওয়া শুরু হয়। আর এরপর স্কুল্পপাঠ্য বইতে সমকামের পক্ষে বক্তব্য রেখে সামাজিক বিধিনিষেধের বিপরীতে এক উল্লেখযোগ্য দৃষ্টান্ত রাখল সরকার। আর এই ঘটনা যে সারা পৃথিবীতে সমকামী মানুষকে আশা জোগাবে, সেকথা বলাই বাহুল্য।
Powered by Froala Editor
আরও পড়ুন
ভারত তথা বিশ্বের ‘প্রথম’ সমকামী যুবরাজ মানবেন্দ্র, রাজপরিবারের বাধা ভেঙে প্রকাশ্যে এনেছেন পরিচয়ও