জলবায়ু পরিবর্তন নিঃসন্দেহে বর্তমান পৃথিবীর সবচেয়ে বড় সমস্যা। মানব সৃষ্ট জলবায়ু পরিবর্তন পৃথিবীকে চরম পরিস্থিতির দিকে এগিয়ে নিয়ে যাচ্ছে। জাতিসংঘের বিজ্ঞানীরা বলছেন, পৃথিবীর ভূভাগকে মানুষ যেভাবে ব্যবহার করছে, তার ফলে গ্লোবাল ওয়ার্মিং আরও বাড়বে। এরফ লে খাদ্যের উৎপাদনশীলতা ও পুষ্টিগুণ কমে যাবে ও খাদ্য আরও ব্যয়বহুল হয়ে উঠবে।
নাসার জলবায়ু বিজ্ঞানী সিন্থিয়া রজেনউইগের মতে, মানুষের খাদ্যের ওপর গ্লোবাল ওয়ার্মিং-র প্রভাব বাড়ছে। তবে এই চিত্র পরিবর্তনের উপায়ও আছে। মানুষকে খাওয়ার পদ্ধতি পরিবর্তন করতে হবে, খাদ্যের উৎপাদন বাড়াতে হবে ও বনভূমির পরিমাণ বাড়াতে হবে। এর মাধ্যমে এই গ্রহকে উষ্ণতর ভবিষ্যতের হাত থেকে বাঁচানো যেতে পারে। এককথায়, ভূখণ্ডকে রক্ষার জন্য সম্ভাব্য সব ব্যবস্থাই নেওয়া উচিৎ, যত দ্রুত সম্ভব।
সমগ্র পৃথিবী যে পরিমাণ উষ্ণ হয়, পৃথিবীর স্থলভাগ তার চেয়ে দ্বিগুণ দ্রুত উষ্ণ হয়। ওয়ার্ল্ড মেটেরোলজিক্যাল অর্গানাইজেশনের তরফ থেকে পেশ করা রিপোর্ট অনুযায়ী, ভূমি পরিচালনার সচেতনতায় অভাবের ফলে মরুভূমির আয়তন বাড়ছে, মেরুপ্রদেশের বরফ গলতে শুরু করেছে, মাটি আরও বেশি খরাপ্রবণ হয়ে উঠেছে ও অনেক উদ্ভিদ ও প্রাণী প্রজাতির সংখ্যা কমে যাচ্ছে। রিপোর্টে এও বলা হয়েছে যে, এর ফলে খাদ্যশৃঙ্খল ও ভেঙে পড়বে ও মানুষকে খাদ্য যোগান দেওয়াও মুশকিল হবে ক্রমশই।
এভাবে চলতে থাকলে পৃথিবীর আয়ু শেষ হতে বেশিদিন সময় লাগবে না। তার আগে একটু সতর্কতা ভালো নয় কি?