এই কিছুদিন আগেও, ঘরে একটা দুটো মৌমাছি ঢুকে পড়ত। আশেপাশের কোনো মৌচাক থেকে দলছুট হয়ে মৌমাছির এই হানা ছিল স্বাভাবিক বিষয়। কিংবা আমের বোল পাকলে, মৌমাছির ‘উপদ্রব’ অতিষ্ঠ করত অনেককেই। কিন্তু গোটা বিশ্বেই গত কয়েকবছর ধরে বিপুল হারে হ্রাস পেয়েছে মৌমাছির সংখ্যা। যার প্রধান কারণ হিসেবে উইং ভাইরাস ও লেক সিনাই ভাইরাসকেই দায়ী করেছেন বিজ্ঞানীরা। কিন্তু এর প্রতিকার পাওয়া যাচ্ছিল না কিছুতেই।
সাম্প্রতিক গবেষণায় উঠে এল এক নতুন তথ্য, যা এই মারণ ভাইরাসের হাত থেকে মৌমাছিদের রক্ষা করবে। ওয়াশিংটন স্টেট ইউনিভার্সিটির একদল গবেষক আবিষ্কার করেছেন যে, আমাদৌ এবং রেইশি জাতীয় ছত্রাক থেকে মাইসেলিয়ামের নির্যাস এই ভাইরাসকে বিকল করতে সাহায্য করে।
এটা জানার পর থেকেই আরও বেশি করে এই প্রজাতির ছত্রাক তৈরি করা হচ্ছে। কিন্তু এই নির্যাস কীভাবে মৌমাছিদের রক্ষা করে, তা এখনও নিশ্চিত ভাবে জানাতে পারেননি বিজ্ঞানীরা। এই মূহূর্তে মাইসেলিয়াম ছত্রাকের নির্যাস বিপুলাংশে পাওয়া যায় না। তাই ঠিক কতটা পরিমাণ নির্যাস মৌমাছিদের মৃত্যুর হাত থেকে বাঁচাবে, তা এখনও গবেষণার অধীনে।
তবে প্রকৃতির ভারসাম্য রক্ষায় মৌমাছির অবদান যে নিছক কম নয়, তা স্বীকার করবেন নিশ্চয়ই আপনিও। পরিচিত কীটপতঙ্গগুলির ধীরে ধীরে হারিয়ে যাওয়া হয়তো সময়েরই নির্দেশ। কিন্তু মানুষেরও কি দায় নেই এতে? বিজ্ঞানীদের চেষ্টা থেকে এই প্রশ্নই উঠে আসে। ফিরে আসুক তারা। সহাবস্থানই প্রকৃতির নির্দেশ। মানুষের সাধ্য কী, অমান্য করে তা!