হাইড্রক্সি-ক্লোরোক্যুইন বিশ্বাসঘাতকতা করেছে ইতিমধ্যেই। রেমডিসিভারের উপরেও আর বিশেষ আস্থা রাখতে পারছেন না চিকিৎসকরা। এদিকে প্রতিদিন করোনা আক্রান্তের সংখ্যা বাড়তে থাকলেও কোনো উপযুক্ত চিকিৎসাই চিকিৎসকদের হাতে নেই। তবে এখানে হতাশ হওয়ার কিছুই নেই। কারণ সম্প্রতি বিজ্ঞানীরা খুঁজে পেয়েছেন অন্য একটি ওষুধ। করোনা আক্রান্তদের মৃত্যুর সম্ভবনা ৫০ শতাংশের বেশি কমিয়ে আনে এই ড্রাগ, ডেক্সামেথাসোন। এমনটাই জানা গিয়েছে সাম্প্রতিক গবেষণায়।
ইংল্যান্ডে করোনা আক্রান্তদের মধ্যে সম্প্রতি একটি পরীক্ষা চালিয়েছেন অক্সফোর্ড ইউনিভার্সিটির একদল গবেষক। তাঁরা বিভিন্ন হাসপাতালে ভর্তি ২০০০ রোগীর উপর প্রয়োগ করেছেন ডেক্সামেথাসোন। আর তাঁদের প্রতিক্রিয়ার সঙ্গে অন্যান্য রোগীদের প্রতিক্রিয়া তুলনা করে শেষ পর্যন্ত ইতিবাচক মন্তব্যেই পৌঁছেছেন। গবেষণাদলের অধ্যাপক পিটার হর্বি জানিয়েছেন, এখনও পর্যন্ত করোনা আক্রান্তদের মধ্যে মৃত্যুহার কমিয়ে আনার ব্যাপারে একমাত্র এই একটি ওষুধের উপরেই ভরসা করার মতো তথ্য মিলেছে। অন্যদিকে গবেষণাগারের অধ্যাপক মার্টিন ল্যানড্রে তথ্য দিয়ে দেখিয়েছেন ভেন্টিলেটরে থাকা রোগীদের মৃত্যুর সম্ভবনা ৫০ শতাংশ থেকে ৪০ শতাংশে এবং অক্সিজেন ট্রিটমেন্টের মধ্যে থাকা রোগীদের মৃত্যুর সম্ভবনা ২৫ শতাংশ থেকে ২০ শতাংশে নামিয়ে আনতে সক্ষম ডেক্সামেথাসোন।
অক্সফোর্ড ইউনিভার্সিটির এই গবেষণা প্রবন্ধে করোনা সংক্রান্ত আরও বেশ কিছু তথ্য উঠে এসেছে। গবেষকদের দাবি, পৃথিবীজুড়ে আতঙ্ক সৃষ্টি করলেও, করোনা আক্রান্ত রোগীদের ৯৫ শতাংশই তেমন কোনো চিকিৎসা ছাড়াই সুস্থ হয়ে উঠতে পারেন। বাকিদের মধ্যেও খুব সামান্য সংখ্যক মানুষেরই শারীরিক প্রতিরোধ ব্যবস্থা ভেঙে পড়ে। আর বিশেষ ওষুধের প্রয়োজন সেখানেই। আর এই ব্যাপারে ডেক্সামেথাসোনের উপর আস্থা রাখা যায়। এটি একদিকে যেমন স্বল্পমূল্যের ওষুধ, তেমনই পৃথিবীর প্রায় সমস্ত দেশেই এর যথেষ্ট যোগান আছে বলেও দাবি গবেষকদের। অতএব এই চিকিৎসা একদিকে পৃথিবীর দরিদ্র এবং উন্নয়নশীল দেশগুলির জন্যও বিশেষ সুখবর বলে আশা করছেন এনএইচএসের আধিকারিকরা।
Powered by Froala Editor
আরও পড়ুন
হটস্পট থেকে করোনা-জয়, ধারাভি বস্তি যেন রোল মডেল হয়ে উঠছে সব জায়গায়