অনেকটা যেন সুকুমার রায়ের কল্পনাপ্রসূত প্রাণী। একদিকে যেমন তার রয়েছে সিংহের মতো কেশর, তেমনই রয়েছে ভেড়ার মতো মোটা পশমের আস্তরণ। সম্প্রতি এমনই এক অদ্ভুত প্রাগৈতিহাসিক ডাইনোসরের হদিশ দিলেন বিজ্ঞানীরা। ছোট্ট এই ডাইনোসরের আয়তন ছিল অনেকটা মুরগির মতোই।
সদ্য আবিষ্কৃত এই ডাইনোসর প্রজাতির নামকরণ করা হয়েছে ‘উবিরাজারা জুবাতাস’। বেশ কয়েক বছর আগে এই প্রজাতিটির জীবাশ্ম খুঁজে পেয়েছিলেন প্রত্নতাত্ত্বিকরা। তবে সাধারণ কোনো ডাইনোসর প্রজাতির জীবাশ্ম হিসেবেই তা সংরক্ষণ করা হয়েছিল ব্রাজিলের একটি জাদুঘরে। সম্প্রতি সেই জীবাশ্ম নিয়ে নতুন করে গবেষণা করতে গিয়েই উঠে আসে চাঞ্চল্যকর এই তথ্য। গবেষণায় যুক্ত ছিলেন পোর্টমাউথ বিশ্ববিদ্যালয়ের গবেষক রবার্ট স্মিথ এবং অধ্যাপক ডেভিড মার্টিল।
বিজ্ঞানীদের অনুমান, সম্ভাব্য ১১ কোটি বছর আগে পৃথিবীতে ঘুরে বেড়াত এই ডাইনোসর। বুদ্ধিমত্তাতেও অন্যান্য ডাইনোসর প্রজাতির থেকে এগিয়ে ছিল এরা। আধুনিক প্রযুক্তির মাধ্যমেই জীবাশ্মের বিশ্লেষণ করে ডিজিটালি এই ছোট্ট ডাইনোসরের ছবি তৈরি করেন বিজ্ঞানীরা। তাঁরা জানান, মাথার পিছন থেকে ঘাড় অবধি দীর্ঘ কেশর ছিল এই প্রজাতির। দেহে ওপর ছিল পশমও। পাশাপাশি কাঁধের দু’দিকে ছিল লম্বা সরু দুটি সংবেদনশীল রিবন। অগ্র এবং পশ্চাৎপদের সঞ্চালন ছাড়াই যা নাড়াতে পারত এই প্রজাতির ডাইনোসররা।
মাস কয়েক আগেই চিনে আবিষ্কৃত একটি ডাইনোসরের জীবাশ্ম সাড়া ফেলে দিয়েছিল বিজ্ঞানীমহলে। বিজ্ঞানীরা পাখির মতোই পালকের অস্তিত্ব খুঁজে পেয়েছিলেন সেই প্রজাতিটির মধ্যে। ধারণা হয়েছিল, প্রথম দিকে এভাবেই ধীরে ধীরে সরীসৃপ থেকে বিবর্তনের হাত ধরেছিল ডাইনোসর। সদ্য আবিষ্কৃত এই প্রজাতির মধ্যেও পাখিসুলভ কিছু বৈশিষ্ট্য থাকলেও, তার মধ্যে স্তন্যপায়ীদের চারিত্রিক বৈশিষ্ট্য লক্ষ্য করলেন বিজ্ঞানীরা। যা ইতিপূর্বে ছিল কল্পনাতীত...
Powered by Froala Editor