ঘনীভূত হচ্ছে ‘প্রক্সিমা সেঞ্চুরি’-রহস্য, বেতার সংকেতের ব্যাখ্যায় জন্ম নিচ্ছে বিতর্ক

পৃথিবীর বাইরে কোথাও কি আছে প্রাণের অস্তিত্ব? যদি থেকে থাকে তবে কেমন তাদের সভ্যতা? বিজ্ঞানীদের তো বটেই, সাধারণ মানুষের মধ্যেও এইসব প্রশ্ন নিয়ে উত্তেজনা কম নয়। আর তাই নিয়ে কল্পবিজ্ঞানের কাহিনি জুড়ে রোমাঞ্চকর গল্পের শেষ নেই। তবে শুধু কল্পবিজ্ঞান নয়, এবার তামাম মহাকাশবিজ্ঞানী সংশয়ে পড়েছেন একটি রহস্যময় বেতার সংকেতকে কেন্দ্র করে। আর সেই সংকেত এসেছে আমাদের প্রতিবেশী নক্ষত্রজগত প্রক্সিমা সেঞ্চুরি থেকেই।

সূর্যের সবচেয়ে কাছের নক্ষত্র প্রক্সিমা সেঞ্চুরি। তাকে ঘিরে মাত্র দুটি গ্রহ পরিক্রমণ করে। ১৯১৫ সালে প্রক্সিমা সেঞ্চুরি আবিষ্কারের পর থেকেই তাকে ঘিরে নানা রকমের প্রশ্ন উঁকি দিতে থাকে। তবে ২০১৯ সালের এপ্রিল মাসে যে বেতার তরঙ্গ ভেসে আসে ওই নক্ষত্রজগত থেকে, তাতে সত্যিই বিস্ময়ের শেষ নেই। কারণ একমাত্র পৃথিবী থেকেই এর আগে এরকম তরঙ্গ পাওয়া গিয়েছে। আর তার কারণ, এ-ধরণের তরঙ্গ কোনো ধরণের বেতার যোগাযোগ ব্যবস্থার সংকেত দেয়।

বিজ্ঞানীদের দাবি, প্রক্সিমা সেঞ্চুরিকে ঘিরে যে দুটি গ্রহ ঘুরে বেড়ায়, তার মধ্যে একটিতে পৃথিবীর মতোই বেশ খানিকটা স্থলভাগের অস্তিত্ব রয়েছে। আবার তার সঙ্গে জলের অস্তিত্ব থাকাও অসম্ভব নয়। ফলে প্রাণধারণের উপযুক্ত পরিবেশের সম্ভাবনা একেবারে উড়িয়ে দেওয়া যায় না। তবে এই তরঙ্গ যে কোনো ভিনগ্রহী জীবের সৃষ্টি, সে-কথাও সম্পূর্ণভাবে মেনে নিতে রাজি নন বিজ্ঞানীরা। অনেকে মনে করছেন, যে বেতার সংকেত পাওয়া গিয়েছে তাতে এরোপ্লেন, টেলিফোনের মতো যন্ত্রপাতির অস্তিত্ব থাকা খুব স্বাভাবিক। আর তাহলে মেনে নিতে হয় মানুষের সভ্যতার সঙ্গে এই ভিনগ্রহী সভ্যতার কোনো পার্থক্য নেই। এমন অদ্ভূত মিল সত্যিই আশ্চর্যের। তবে এখনও অবধি দ্বিতীয় কোনো সংকেত পাওয়া যায়নি। ফলে যে তরঙ্গ শনাক্ত করা হয়েছে তা কোনো যান্ত্রিক গোলযোগের কারণ কিনা, সেটা বলাও সম্ভব নয়। আপাতত সেই দ্বিতীয় সংকেতের দিকেই তাকিয়ে আছেন বিজ্ঞানীরা।

Powered by Froala Editor

Latest News See More