‘ভয়’ নিয়ে গবেষণার স্বীকৃতি, বিরল আন্তর্জাতিক সম্মান পেলেন বাঙালি বিজ্ঞানী

আবারও বিশ্বমঞ্চে উঠে এল বাঙালি বিজ্ঞানীর নাম। তাঁর কাজ, তাঁর গবেষণাকে সম্মানিত করল আন্তর্জাতিক মহল। জীববিজ্ঞান বিভাগে অবদান রাখার জন্য স্বীকৃত হলেন বাংলার বিজ্ঞানী অধ্যাপক সুমন্ত্র চট্টোপাধ্যায়। ইউরোপিয়ান মলিকিউলার বায়োলজি অর্গানাইজেশন বা ‘এমবো’ প্রতিষ্ঠানের অ্যাসোসিয়েট সদস্যপদ দেওয়া হল তাঁকে। ইউরোপের বাইরে কোনো বিজ্ঞানীকে এমন সম্মান জানালেন তাঁরা।

মূলত স্নায়ুবিজ্ঞান নিয়েই গবেষণা করেছেন অধ্যাপক চট্টোপাধ্যায়। আমাদের জীবনের সঙ্গে ওতপ্রোতভাবে জড়িয়ে আছে ‘ভয়’ শব্দটি। কেউ ভূত দেখে ভয় পায়, কেউ পরিবারকে, কেউ আবার অন্য কোনো জিনিসে। এই ভয় বা ফোবিয়ার পেছনে আছে অনেক কারণ। সেসব নিয়েই মূলত গবেষণা করেছেন সুমন্ত্রবাবু। মানসিক সমস্যা, জটিলতার নানা দিক দিয়েও পড়াশোনা করে গেছেন। চাপের মধ্যে দিয়ে আমরা সবাই যাই; কেউ কম কেউ অনেকটা বেশি। এই চাপ, ভয়, স্ট্রেস আমাদের শরীরের ওপর বিশাল প্রভাব ফেলে। বিশেষ করে আমাদের মস্তিস্কের অনুভূতি নিয়ন্ত্রক অংশের অনেক ক্ষতি করে। তার চরিত্রও আমূল বদলে যেতে পারে। এই যাবতীয় জিনিসই নিজের কাজের মাধ্যমে তুলে এনেছেন সুমন্ত্রবাবু। এই গবেষণাই বেশ কিছু রোগের দিশা দেখিয়েছে। ওষুধ তৈরির কাজও এগিয়েছে। তাঁর এই কাজ দেশে তো বটেই, বিদেশেও সমাদৃত হয়েছে। 

বর্তমানে সেন্টার ফর ব্রেন ডেভেলপমেন্ট অ্যান্ড রিপেয়ারের অধিকর্তা তিনি। এছাড়াও ব্যাঙ্গালোরের ন্যাশনাল সেন্টার ফর বায়োলজিকাল সায়েন্সেসের সিনিয়র অধ্যাপকের পদও অলঙ্কৃত করছেন। এরই মধ্যে চলে এল এমন আন্তর্জাতিক সম্মান। এর আগে আর কোনো বাঙালি এই সম্মান পাননি। অধ্যাপক সুমন্ত্র চট্টোপাধ্যায়ই ভারতের প্রথম স্নায়ুবিজ্ঞানী যাকে এমবো’র সাম্মানিক সদস্যপদ দেওয়া হল। ইউরোপের বাইরের মোট ৭টি দেশের ১১ জন সদস্যকে অ্যাসোসিয়েট সদস্য করা হয়েছে। তার মধ্যে প্রথম নামটিই সুমন্ত্রবাবুর। স্বভাবতই তাঁর এমন সম্মানে উচ্ছ্বসিত দেশের বিজ্ঞানীমহল। 

Powered by Froala Editor

আরও পড়ুন
চলে গেলেন বাংলাদেশের 'প্লেব্যাক সম্রাট' এন্ড্রু কিশোর, শোকাহত অসংখ্য অনুরাগী