এই করোনা পরিস্থিতিতেও একের পর এক নতুন প্রজাতির সন্ধান পেয়েছেন বিজ্ঞানীরা। তবে এবার আর কোনো ছোটো অমেরুদণ্ডী প্রাণী নয়। সন্ধান পাওয়া গেল নতুন গোত্রের প্রাইমেট অর্থাৎ বানর জাতীয় প্রাণী। নিঃসন্দেহে এ এক ঐতিহাসিক ঘটনা। তবে তার থেকেও বড়ো ঘটনা, এই প্রজাতি যখন আবিষ্কার হল তখন সেটা প্রায় বিপন্ন। ইতিমধ্যে আর মাত্র ২০০টি পোপা লেঙ্গুর গোত্রের প্রাণী জীবিত আছে। এই নব্য আবিষ্কৃত বিপন্ন প্রাণীটি স্বাভাবিকভাবেই বিজ্ঞানীদের কাছে এক বড়ো চ্যালেঞ্জ।
গাছের সবুজ পাতা খেয়ে বেঁচে থাকে যে-ধরনের বানর, তাদের লেঙ্গুর বলা হয়। এশিয়ার নিরক্ষীয় অঞ্চলে এমন অনেক লেঙ্গুরের সন্ধান পাওয়া যায়। তাদের মধ্যেই একটি প্রজাতি হল এই পোপা লেঙ্গুর। বাসস্থান পোপা দ্বীপের নামে এরকম নামকরণ। কালো চশমার মতো চোখ দেখলেই চেনা যায় একে। তবে এতদিন কেন বিজ্ঞানীরা এর হদিশ পাননি, সেটাই আশ্চর্যের। যদিও ইতিমধ্যে ইউরোপ, অস্ট্রেলিয়ার অনেক জুলজিক্যাল মিউজিয়ামে পোপা লেঙ্গুরের জায়গা হয়েছে, কিন্তু তাদের আলাদা প্রজাতি বলে চিহ্নিত করা হয়নি।
সম্প্রতি মায়ানমার সরকারের উদ্যোগে বেশ কিছু আন্তর্জাতিক দল এশিয়ার নিরক্ষীয় অঞ্চলের প্রাণীদের নিয়ে গবেষণা শুরু করেন। আর তাতেই সন্ধান পাওয়া যায় এই প্রাণীর। তবে তার সংখ্যা কমে আসছে ক্রমশ। এর মধ্যে চোরাশিকার যেমন আছে, তেমনই আছে বনভূমি হ্রাস পাওয়াও। সব মিলিয়ে আপাতত ৪টি দলে ২০০ থেকে ২৫০টি পোপা লেঙ্গুরের বাস। অতি দ্রুত ব্যবস্থা না নিলে তাদের অস্তিত্বও বিপন্ন হবে। এমনটাই জানাচ্ছেন বিজ্ঞানীরা। তবে দ্রুত অবক্ষয়ের দিকে এগিয়ে চলা পরিবেশে সেই চেষ্টা কতদূর সফল হবে, সেটাই একটা বড়ো প্রশ্ন।
Powered by Froala Editor