পৃথিবির নিকটতম অগ্নিগোলক সূর্য। আর পৃথিবীর আকাশে উজ্জ্বলতম এই নক্ষত্রের শরীরেই তৈরি হয়েছে এক বিশাল ক্ষত। সম্প্রতি হাওয়াইয়ের একটি শক্তিশালী টেলিস্কোপে ধরা পড়ল এমনই একটি সানস্পট। যার ব্যাস অন্তত ১০ হাজার মাইল। যার মধ্যে ঢুকে যেতে পারে গোটা পৃথিবীই।
হাওয়াইয়ে অবস্থিত মার্কিন ন্যাশনাল সায়েন্স ফাউন্ডেশনের ড্যানিয়াল কে ইনোয়ে টেলিস্কোপে ধরা পড়েছে এই দৈত্যাকার সানস্পট। সম্প্রতি বেশ কিছু যান্ত্রিক সংস্করণের মাধ্যমে এই টেলিস্কোপের স্থানিক রেজোলিউশন বাড়ানো হয়েছিল আড়াই গুণ। আর তাতেই স্পষ্ট হয় সূর্যের ক্ষত।
সূর্যের কেন্দ্রের অন্ধকারতর অঞ্চল থেকেই তুলনামূলকভাবে কম উষ্ণ গ্যাস উপরে ছড়িয়ে পড়ায় এই সানস্পটের সৃষ্টি হয়েছে বলে মনে করছেন বিশেষজ্ঞরা। সানস্পটের তীব্র চৌম্বকীয় ক্ষেত্রই উচ্চ ঘনত্বের তাপীয় প্রবাহকে সূর্যপৃষ্ঠে পৌঁছাতে বাধা দিচ্ছে ক্রমাগত। যার কারণেই সক্রিয় হয়ে উঠছে এই সানস্পট। কেন্দ্র থেকে বাইরের দিকে তাপীয় প্রবাহ না হওয়ায় বাড়ছে সূর্যের তাপমাত্রাও।
গত ডিসেম্বর মাসেই সূর্যের ১১ বছরের সৌরচক্র শেষ হয়েছিল। নিজের সর্বনিম্ন তাপমাত্রায় পৌঁছেছিল সূর্য। তারপর থেকে বিগত এক বছরের মধ্যে এই প্রথম কোনো সানস্পট নজরে এল বিজ্ঞানীদের। যা ২০২৫ সালের মাঝামাঝি সময়ের মধ্যেই সূর্যের তাপমাত্রাকে সর্বোচ্চ করতে ভূমিকা নেবে বলে মনে করছেন সৌরবিজ্ঞানীরা।
টেলিস্কোপের প্রোগ্রাম ডিরেক্টর ডেভিড ববল্টোজ জানান, এখনও সম্পূর্ণভাবেই তৈরি হয়নি এই সানস্পট। আগামী দিনে আরও শক্তি বাড়বে সানস্পটের চৌম্বকীয় ক্ষেত্রের। পাল্লা দিয়েই চলবে বিশদ গবেষণা এবং পর্যবেক্ষণ। আগামী ১১ বছরের সৌরচক্রের গতিবিধি এবং চরিত্র বুঝতে যা সাহায্য করবে বলেই আশাবাদী তিনি...
Powered by Froala Editor
আরও পড়ুন
সূর্যের ‘সি-এন-ও’ চক্র থেকেই নির্গত হয় নিউট্রিনো কণা, অবশেষে মিলল প্রমাণ