একজন শিল্পী নদীর চরে একমনে এঁকে যাচ্ছেন ছবি। বালুতট জুড়ে ফুটে উঠছে অবয়ব, দূর থেকে আলপনার মতো দেখতে লাগে তাকে। কিন্তু সেই শিল্পের আয়ু ঘনিয়ে আসে জোয়ারের সময়। নদীর ঢেউ এসে খেয়ে যায় শিল্পীর সৃষ্টি। কিন্তু শিল্পীর কোনো হেলদোল নেই। একটা করে আঁকা সরে যায়। তারপর ক্যানভাস পরিষ্কার হলে তিনি আবার মগ্ন হয়ে পড়েন সৃষ্টিতে।
নিকোলো ফেলার ক্রোয়েশিয়ার শিল্পী। যাঁর কাছে সৃষ্টিই একমাত্র উদযাপনের জিনিস। ক্রোয়েশিয়ার নেরেৎভা নদীর চরে বালির ওপর তাঁর কাজ। কিন্তু ভাটার পর জোয়ার এলে, সেই অলঙ্করণই কোথায় হারিয়ে যায়। এসব সময় নিকোলোর কি কখনই খারাপ লাগে না? উত্তর আসে, শিল্পের কোনো ধ্বংস নেই। সময় সময় তার আকার পরিবর্তন হয় মাত্র। নিকোলোর গল্প শুনতে শুনতে কখনও ভেসে আসেন জীবনানন্দ, কখনও কাফকা— যাঁরা নিজেদের সৃষ্টিকে লুকিয়ে রেখেছিলেন নিজেদের সঙ্গে। ধ্বংস করে দিতে চেয়েছিলেন। নিকোলো কি শুনেছেন তাঁদের কথা?