৩০ বছর পর দেখা গেল হিমালয়ের তুষারাবৃত শৃঙ্গ, মুগ্ধ সাহারানপুরের বাসিন্দারা

উত্তরপ্রদেশের একটি মফস্বল সাহারানপুর। হিমালয়ের চূড়া দেখা যেত এই অঞ্চল থেকে। বাসিন্দাদের অনেকেই ছোটো থেকে এমন গল্প শুনে এসেছেন। কিন্তু জীবনে একবারও প্রত্যক্ষ করেনি কোনোদিন। এই আষাঢ়ে গল্প বিশ্বাসও ছিল না অনেকের। সম্প্রতি অবসান হল এই জল্পনার। দীর্ঘ ৩০ বছর পর, সাহারানপুর থেকে দেখতে পাওয়া গেল তুষারাবৃত হিমালয়। চমকে গেছেন এলাকার মানুষ। মনোরম এই দৃশ্যে বাকরুদ্ধ তাঁরা।

লকডাউনে আস্তে আস্তে সেরে উঠছে প্রকৃতি। আর আশ্চর্য উপহার দিচ্ছে মানুষকে। যেমন, তিন দশক পরে, দূষণের আড়াল থেকে বেরিয়ে এল হিমালয়। লকডাউনে সমস্ত কল কারখানা বন্ধ থাকায় অবিশ্বাস্য হারে কমেছে দূষণ। উত্তরপ্রদেশে বাতাসের দূষণের মাত্রা নেমে এসেছে ৫০-এর নিচে। কাজেই সাহারানপুর থেকে এখন বহুদূরের মনোরম দৃশ্য এখন একদম স্পষ্ট।

সম্প্রতি ওই এলাকার বাসিন্দা দুষ্যন্ত কুমার একটি ছবি আপলোড করেছিলেন তাঁর স্যোশাল মিডিয়ায়। অবিলম্বেই ভাইরাল হয়ে যায় ছবিটি। শেয়ার করেন কয়েক হাজার মানুষ। উত্তরপ্রদেশের স্টেট ডাইভার্সিটি বোর্ডের সেক্রেটরি রমেশ পান্ডের কাছেও পৌঁছায় ছবিটি। তিনি চিহ্নিত করেন ছবিতে দেখতে পাওয়া শৃঙ্গ দুটিকে। সেগুলি যথাক্রমে বান্দরপুঞ্ছ এবং গঙ্গোত্রী।

সাহারনপুরের ফরেস্ট অফিসার, ভি.কে. জৈন-ও উচ্ছ্বসিত এই দৃশ্য দেখতে পেয়ে। তিনি জানান, এই হিমালয় চূড়া দুটি মুসৌরি থেকে দৃশ্যমান। কিন্তু সাহারানপুর থেকে ২০০ কিলোমিটার দূরের এই শৃঙ্গগুলি বহুদিন দৃষ্টিগোচর ছিল দূষণের কারণে।

তবে শুধু সাহারানপুর না; মুজফফরপুরেও কমেছে দূষণ। এয়ার কোয়ালিটি ইন্ডেক্স নেমে এসেছে ৩০০ থেকে ৫০-এ। আগে এই দুটি অঞ্চলেই বাতাসের মান ‘ভয়ঙ্কর খারাপ’ হিসাবে চিহ্নিত হয়েছিল। মানুষের কার্যকলাপ বন্ধ থাকায়, প্রজাপতির মতো ডানা মেলে ধরছে পৃথিবী। লকডাউন আরো দীর্ঘ হলে, প্রকৃতি এমনভাবেই অবাক করতে থাকবে সকলকে।

More From Author See More

Latest News See More