অঞ্জনা নদীতীরে চন্দনী গাঁয়ে
পোড়ো মন্দির খানা গঞ্জের বাঁয়ে
জীর্ণ ফাটল-ধরা,— এক কোণে তারি
অন্ধ নিয়েছে বাসা কুঞ্জবিহারী।
সহজ পাঠের এই কবিতা শুনলে চোখের সামনে ভেসে ওঠে স্রোতস্বিনী একটি নদীর ছবি। কিন্তু বর্তমানে তার অবস্থা খুবই করুণ। আজ নদীটি আর নদী নেই, হয়ে গেছে সরু একটি খাল। কৃষ্ণনগরের শ্মশান কালীবাড়ির জলঙ্গী নদী থেকে উৎপত্তি এই অঞ্জনা নদীর। তারপর রাজবাড়ির সামনে দিয়ে শক্তিনগর হাসপাতালের পাশ দিয়ে বয়ে গিয়ে নদী গেছে দোগাছি এলাকায়। তারপর রানাঘাটের ব্যাসপুরের কাছে চূর্ণি নদীতে মিশেছে।
আরও পড়ুন
রবীন্দ্রনাথের 'তন্বী ইছামতী' নদীতে আজ আবর্জনার স্তূপ
কোথাও মাছ চাষ বা কোথাও সবজি চাষ, কোথাওবা বাড়িঘর তৈরি হয়েছে। এইভাবেই নদী তার স্বাভাবিক বহমানতা হারিয়েছে। কিন্তু সুখবর হল, নাগরিকেরা সচেতন হয়েছেন। তাঁরা চাইছেন অঞ্জনার সংস্কার করে তাকে পুরনো রূপে ফিরিয়ে দিতে। কিন্তু রাজনৈতিক উদ্যোগের অভাবে আশা আশাই থেকে যায়, তার বাস্তবায়ন আর হয় না। অঞ্জনার সরু জলধারা দিয়েই বয়ে যায় নাগরিকদের ইচ্ছা আর রাজনৈতিক উদ্যোগ।
এমন কি চলতেই থাকবে?